নব্য ফ্যাসিবাদের শিকার জাতীয় পার্টি: জি এম কাদের
Published: 22nd, January 2025 GMT
জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্য শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে কোণঠাসা করতে চাইছে সরকার। স্বাভাবিক রাজনীতিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে আমরা নব্য ফ্যাসিবাদের স্বীকার।
জাপার বনানী কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা জাপা নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে গত চার নির্বাচনে সমঝোতা করায় স্বৈরাচারের দোসর তকমা পাওয়া জাপাকে ছাত্র নেতৃত্বের বিরোধিতার মুখে কিছুতেই ডাকছে না অন্তর্বর্তী সরকার।
জি এম কাদের গত আগস্টে সরকারকে সমর্থন জানালেও অভ্যুত্থানের মামলার আসামি হওয়ার পর সমালোচনা করেছেন। বুধবার তিনি বলেছেন, দেশ সঠিকভাবে চলছে না। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মাঝে হাহাকার। আধাপেট খাওয়া মানুষ বাড়ছে। কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বেকার বাড়ছে। দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়লে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, একটি শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, তেমন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অসম্ভব। ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দলের কয়েকটির সঙ্গে সরকার ঐক্য করছে। এতে বেশির ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল থাকছে আলোচনার বাইরে। সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে পারছে না গণমাধ্যম, যা আওয়ামী লীগের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। মানুষ বিচার, সেবা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাচ্ছে না।
সভায় জাপা মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকাসহ নরসিংদীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র র জন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় মাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে বাধা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি মাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে প্রশাসনের লোকজন অভিযান না চালিয়ে ফিরে আসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভিযানের সময় মাজারের লোকজন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া বিত্তিপাড়া এলাকার ঘোড়াশাহ বাবার মাজারে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনায় ঘোড়াশাহ মাজারে যান। এসময় তাদের বাধা দেন মাজারে উপস্থিত ভক্ত-অনুসারীরা। তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন ও অভিযান টিমের সদস্যদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ছাত্র সমন্বয়কদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা
গোপালগঞ্জে গোবিপ্রবির ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতাকে মারধর
ভেড়ামারা থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, “মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এসিল্যান্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের লোকজনদের বাধার মুখে ফিরে আসেন তারা। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে মাজারের লোকজন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। যে কারণে অভিযান পরিচালনা করতে না পেরে আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। কারা এই উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। আপাতত এ বিষয়ে আর কিছু বলা যাচ্ছে না।”
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রশাসনের লোকজন দেখেই উষ্মা প্রকাশ করেন লাল পোশাক পরিহিত কিছু উচ্ছৃঙ্খল ভক্ত-আশেকান। প্রশাসন কাজ শুরুর আগেই তারা আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন। বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের লোকজন ফিরে আসেন।”
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, ““আমিও শুনেছি ঘটনাটি। আমরা রেগুলার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ