সাবেক এমপি আবু জাহির ও তার পরিবারের সম্পদ জব্দের আদেশ
Published: 22nd, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ–৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সব সম্পদ জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের এ–সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২২ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন। দুদকের প্যানেল আইনজীবী মোহাম্মদ শামসুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, সাবেক এই সংসদ সদস্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। এ অনুসন্ধান চলা অবস্থায় সব সম্পদ জব্দের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুরের পাশাপাশি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী আবদুর রহমান, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার এসব মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর এবং তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে মোট ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ৮৯১ কোটি ৩২ লাখ ৯৪ হাজার ৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
পাশাপাশি ৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবদুর রহমানের স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা
দুদক সূত্র জানায়, ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৮২৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর নামে থাকা ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। একই অভিযোগে মামলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও।
দুদক সূত্র বলছে, সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের নিয়োগ ও বদলি–বাণিজ্যের জন্য আলোচিত ছিলেন। নিয়োগ ও বদলি–বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে শরিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও।
এ দিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।