চালক ও পথচারীদের জন্য ডিএমপির বিশেষ বার্তা
Published: 22nd, January 2025 GMT
সড়ক পারাপার এবং যান চলাচলে পথচারী ও চালকদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা প্রায়ই অযাচিতভাবে বা অপ্রয়োজনীয় হর্ন ব্যবহার করেন। এছাড়া অনেকেই অননুমোদিত বিভিন্ন ধরনের উচ্চ মাত্রার হর্ন ব্যবহার করেন। ফলে পথচারী, যাত্রীসাধারণ, অন্যান্য গাড়ির চালক এবং বিশেষভাবে অসুস্থ জনসাধারণের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
এসব সমস্যা রোধকল্পে মোটরযান চালকদের সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ধারা ৪৫ এর বিধান অনুসরণ করে অপ্রয়োজনীয় ও উচ্চমাত্রায় হর্ন ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদির নিকটে এবং এয়ারপোর্ট ক্রসিং এলাকায় কোনোরকম হর্ন ব্যবহার না করার নির্দেশনা রয়েছে।
এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সে রোগী না থাকা সত্ত্বেও এবং জরুরি সার্ভিসসমূহের গাড়িগুলো জরুরি কাজ ব্যতীত চলাচলের সময় হর্ন বা হুটার ব্যবহার করেন। এ অবস্থায় অপ্রয়োজনে এবং নিষিদ্ধ এলাকায় হর্ন বা হুটার না বাজানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কতিপয় যানবাহনের গ্লাসে কালো পেপার লাগানো থাকে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ধারা ৪০ এর বিধান অনুসরণ করে গাড়িতে কালো পেপার লাগানো থেকে বিরত থাকার জন্য এবং কালো পেপার লাগানো থাকলে তা খুলে ফেলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায় পথচারীরা রাস্তা পারাপারে প্রায়ই জেব্রা ক্রসিং বা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে রাস্তা পারাপার হন। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হলে দুর্ঘটনা ঘটে, যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। সুতরাং পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
কোনো মটরযান চালক বা পথচারী বিষয়গুলো পালনে ব্যর্থ হলে নিয়মিত অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য পথচ র
এছাড়াও পড়ুন:
সরস্বতি পূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জমজমাট প্রতিমার হাট
আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্নস্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এখন চলছে প্রতিমার বেচাকেনা। এবার প্রতিমার দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া থাকলেও কারিগররা বলছেন, জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমার দামও কিছুটা বাড়তি।
পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে আশীর্বাদ লাভের আশায় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুধু বাড়িতেই নয় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দেবীর পায়ে অঞ্জলী দিয়ে অনেক শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হবে।
এ পূজার প্রধান অনুসঙ্গ হলো প্রতিমা। ফলে জেলা শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ী, সদর উপজেলার সাতপাড়, বৌলতলী, কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, ঘাঘর বাজারসহ অনেক স্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এসব হাটে আনা এক একটি প্রতিমা প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাসপূর্ণিমা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
পুটিয়ার কৃষ্ণপুরে চলছে কাত্যায়নী পূজা
এ বছর ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিমার দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, দাম সাধ্যের মধ্যে আবার কেউবা বলছেন দাম আগের চেয়ে বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে, এর মধ্যেও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসব হাট থেকে কিনে নিচ্ছেন পছন্দমতো প্রতিমা। হাটে শুধু প্রতিমাই নয় বিক্রি হচ্ছে ফুল, মালা, মিষ্টিসহ পূজার অন্যান্য উপকরণও।
রীতি অনুযায়ী বিদ্যার দেবী সরস্বতি পূজার পাশাপশি বসন্ত পঞ্চমীতে গণেশ, লক্ষ্মী, নবগ্রহ, বই, খাতা, কলম ও বাদ্যযন্ত্রের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শীত ঋতুর অবসান হয়ে বসন্ত ঋতুর আগমন বার্তা ঘটবে।
প্রতিমা কিনতে আসা উত্তম সাহা বলেন, “শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীতে সরস্বতী প্রতিমার হাট বসেছে। এবার বাড়িতে পূজা করাব। ছেলেকে নিয়ে হাটে প্রতিমা কিনতে এসেছি। ঘুরে ফিরে পছন্দমত প্রতিমা কিনেছি। আমি মনে করি, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।”
অপর ক্রেতা নারু গোপাল বলেন, “প্রতিবছর এখানে প্রতিমার হাট বসে। এবে এবার প্রতিমার আমদানি একটু কম। তারপরেও দেখে বুঝে দরদাম করে একটি প্রতিমা কিনেছি। এবার আমাদের বাড়িতে সরস্বতী পূজা হবে।”
অপর ক্রেতা পরিমল চন্দ্র ঢালী বলেন, “এক একটি প্রতিমা ২০০ তেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হচ্ছে। হাটে এসে প্রতিমা দেখছি। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাব। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার দাম একটু বেশি।”
গোপালগঞ্জ শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীর হাটে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা উত্তম পাল বলেন, “এবার ২০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে ১০টি বিক্রি করা হয়েছে। তবে এবার ক্রেতার সংখ্যা একটু কম। আশা করি, বাকি দুই দিনও বেচাকেনা হবে।”
কার্ত্তিক পাল বলেন, “কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রাম থেকে ৩০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। চার থেকে পাঁচটি প্রতিমা বিক্রি করেছি। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে প্রতিমা বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রতিমা তৈরির অনুসঙ্গের যে দাম তাতে খরচও উঠছে না।”
স্বপন পাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, “প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছোন, রংসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম প্রতিবছর বেড়েই চলছে। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, সেই দামে বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তারপরেও বাব-দাদার পেশা আমরা ধরে রেখেছি।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ