কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে বুধবার কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে মানববন্ধনও করেছেন তারা। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে তারা এ কর্মসূচি দিয়েছিলেন।

কলেজ শিক্ষকরা জানান, গত ১৩ জানুয়ারি ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগ জামাতের সাদ ও জোবায়েরপন্থিদের মাঝে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় একজন আহত হন। আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় গত সোমবার তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম বন্ধের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে  মতবিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অধ্যক্ষকে তাঁর অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। অশালীন আচরণ করে। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

আবুল বাসার ভূঁইয়া জানান, পদক্ষেপ না নিলে কলেজের একাডেমিক পরিবেশ যে কোনো সময় ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। মানববন্ধনে অধ্যক্ষ ছাড়াও শিক্ষকরা বক্তব্য দেন। 

শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান বলেন, অধ্যক্ষের কক্ষে যা হয়েছে তা শৃঙ্খলাবিরোধী। এরা বহিরাগত। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

 

 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, ইবির আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আরো পড়ুন:

নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের 

রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি ইবির কর্মকর্তার, বহিষ্কার দাবি

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ স্বয়ং মহানবী (সা.) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রকম এক মহামানবকে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কটূক্তি করা হয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। 

বক্তারা আরো বলেন, কোনো ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন বা কোন নাটক মঞ্চস্থের মধ্যে দিয়ে বিচারকে বিলম্বিত করা যাবে না। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই মোজাম্মেলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে।

মোজাম্মেল হককে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসুলদের নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। পরে তারা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।পুলিশ মৌখিক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভাগের নিকট তার বহিষ্কারের দাবি জানালে তদন্তে কমিটি গঠন করে বিভাগটি।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জমি দখলের প্রতিবাদ করায় মামলা-হয়রানি
  • মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার আহ্বান
  • থানার পাশে অবৈধ বালুমহাল, ওসির প্রত্যাহার চাইলেন বিএনপি নেতা
  • রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার দ্রুত খোলার দাবি জানাল বায়রা
  • ফেনীতে একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন-সমাবেশ
  • রাতে বালুর ট্রাকের টাকা গুনে নিচ্ছে পুলিশ
  • প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে সড়ক অবরোধ, স্কুলে তালা
  • গুম শিক্ষার্থীদের ফেরত দাবি জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির
  • রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি