ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে পুরোনো দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম মেহেদী হাসান ওরফে লিটু (৫০)। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

লিটু স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউনিয়নের পূর্ব আলগি গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে।

ভাঙ্গা থানার ওসি মোকছেদুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে লিটুকে ভাঙ্গা পৌরসভার দাঁড়িয়ারমাঠ মহল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের ওপর হামলা এবং ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর বিস্ফোরক আইনের মামলা  হয়েছে।  

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ওরফে বিটু মুন্সী ভাঙ্গা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এই মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়। 

এ ছাড়া ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট ভাঙ্গা পৌরসভার কুমার নদের ওপর সেতুর দুই পাশের মহল্লার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা করেন। দুটি মামলার এহাজারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে লিটুর নাম ছিল না। তাঁকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফের রপ্তানি হতে পারে সুগন্ধি চাল

ফের সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। 

জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয় উৎপাদন ও চাহিদা পর্যালোচনার ভিত্তিতে সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় চালের মজুত বিবেচনায় সুগন্ধিসহ সব ধরনের চাল রপ্তানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৯ জুন সুগন্ধি চাল রপ্তানি সাময়িক স্থগিত করা হয়।

এরপর রপ্তানিকারকদের অনুরোধে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পুনরায় সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগে অনুমোদন পাওয়া ২৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ২৪৪ টন সুগন্ধি চাল ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর তিন মাস না যেতেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আবার সুগন্ধি চাল রপ্তানি ফের বন্ধ করা হয়।

রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ায় চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালসহ খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক ও কন্টেইনার বন্দর থেকে ফেরত আনতে হয়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষতির সম্মুখীন হন তারা। রপ্তানিকারকরা বলে আসছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়াই হঠাৎ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর সুগন্ধি চাল আবার রপ্তানি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে সুপারিশ করে। কমিশন জানায়, গত কয়েক বছর ধরে সুগন্ধি চালের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় রপ্তানি বহুমুখীকরণের স্বার্থে দেশীয় চাহিদার অতিরিক্ত চাল ‘কেস টু কেস’ ভিত্তিতে কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান সমকালকে বলেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সুগন্ধি চালের সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তার তেমন একটা সম্পর্ক নেই। উৎসব-পার্বণে এই চাল ব্যবহার করা হয়। এক কেজি সুগন্ধি চাল রপ্তানি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে চার কেজি মোটা চাল আমদানি করা যাবে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এ চালের চাহিদা রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রপ্তানি হতে পারে সুগন্ধি চাল