বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীপুরের সানসিটি হাউজিং মাঠে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান শ্রমিকরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বেশকিছু যানবাহনে ভাঙচুর চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

প্রত্যক্ষদর্শী বাবর সরকার বলেন, ‘‘বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকেরা। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেলে কাশিমপুর মোজার মিল এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, শ্রমিকেরা মহাসড়ক থেকে সরতে অস্বীকৃতি জানান। উত্তেজিত কিছু শ্রমিক সড়কের যানজটে আটকা গণপরিবহন ভাঙচুর চালান। দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন দুর্বৃত্তরা।’’

শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.

আবু তালেব বলেন, ‘‘বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন শ্রমিকরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘যানবাহনে ভাঙচুর ও যারা বাসে অগ্নিসংযোগ করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’’

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা দাবি করেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ সব কারখানা খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা, এলসি খুলে দেওয়া এবং অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

ঢাকা/রফিক/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।

নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই  নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ