এবার ভারতীয়দেরই বাঁধায় সীমান্তে কাঁটাতার দিতে পারল না ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এমন ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদীয়া জেলার শিকারপুর এলাকায়।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শিকারপুর বিডিও অফিস-সংলগ্ন এলাকা থেকে মাথাভাঙা নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার দিতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ।

এ-সংক্রান্ত ভিডিও রয়েছে রাইজিংবিডি ডটকমের হাতে। ভিডিওতে গ্রামবাসীর কথোপকথন থেকে জানা যায়, সীমান্তের এই অংশে অন্তত ৩০০টি হিন্দু পরিবারের বসবাস। কিন্তু চৈত্র মাসে সেখানকার টিউবয়েল থেকে পানি পাওয়া যায় না। ফলে পানির উৎস হিসেবে গ্রামের একমাত্র ভরসা জিরোপয়েন্টের মাথাভাঙ্গা নদী।

নদীয়ার শিকারপুর এলাকার মানুষের মৃত্যু হলে তাদের সৎকারের জন্য রয়েছে একটিমাত্র শ্মশান। সেটিও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পড়েছে।

ফলে সীমান্তের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিএসএফ কাঁটাতার দিয়ে দিলে নদী ও শ্মশান চলে যাবে দুই দেশের কাঁটাতারের মধ্যবর্তী এলাকায়, বলছেন গ্রামবাসী।

যে কারণে তারা সীমান্তের এই এলাকায় কোনোভাবেই কাঁটাতারের বেড়া চাইছেন না। তবে তারা এ-ও বলছে, যদি কাঁটাতারের বেড়া দিতেই হয়, তাহলে যেন বেড়ার সঙ্গে একটি লোহার গেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

অবশ্য বিজিবির সঙ্গে নতুন করে আলোচনা ছাড়া সীমান্তের এই অংশে গেট রাখার বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএসএফ। এ অবস্থায় স্থানীয় ভারতীয়দের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তারা। সেখান থেকে বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

ঢাকা/কংসবনিক/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ন ত র এই ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ ব্যাপারে বিজিবির দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিহত যুবক হলেন কসবার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আল আমীন (৩২)।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার পুটিয়া সীমান্তের ওপারে কয়েকজন যুবককে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়ে বিএসএফ। এতে আল আমীন নামে এক যুবক আহত হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাত ৯টায় মারা যান তিনি। মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদির ও কসবার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা আল আমীন নামের ওই যুবকের বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির সুলতানপুর ৬০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে আটক ২ বাংলাদেশি নারীকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • বাধার পরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
  • দহগ্রাম সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া দিল বিএসএফ
  • ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে আরও কঠোর হবে বিজিবি: ডিজি 
  • বাংলাদেশিকে গুলি করে নিয়ে যায় বিএসএফ, হাসপাতালে মৃত্যু
  • কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত