ঢাবি শাখা শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
Published: 22nd, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারী) শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নবগঠিত সম্পাদক পরিষদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যদের উপস্থিতিতে শহীদ মাহবুবুর রহমান অডিটোরিয়ামে সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এবং কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে এসএম ফরহাদ শাখা সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া সদস্যদের পরামর্শের ভিত্তিতে মহিউদ্দিন খান ও কাজী আশিক যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।
ঢাবি শাখা কমিটিতে আছেন, অফিস সম্পাদক মো.
এছাড়াও শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল-আমিন, সাহিত্য ও স্পোর্টস সম্পাদক মো. মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, দাওয়াহ সম্পাদক হামিদুর রশিদ জামিল, আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক ছৈয়দ তানবীর হাসান জাহিন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মুয়াজ এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল ইসল ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ইবির উপাচার্যের সঙ্গে সমন্বয়কদের মতবিনিময়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসানের পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে নতুন কাউকে নিয়োগের দাবি করেন সমন্বয়করা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাতুল্লাহ শেখসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয়করা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক জায়গায় এখনো আওয়ামীলীগ বা তার ফ্যাসিস্টরা বসে আছে। এ ব্যাপারে আমরা সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ফ্যাসিস্টরা কোনোভাবেই জায়গা পাবে না।
তারা আরো বলেন, আমরা আজ একটা দাবি নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম স্টেক হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। কিন্তু সেটাও ফ্যাসিস্টদের দখলে। উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হবে। অলরেডি তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই একজন সৎ যোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কাজগুলো পরিচালিত হোক।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এর আগে আমরা শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রেজিস্ট্রার নিজে কোনো ড্রাফট তৈরি করতে পারে না, ইংরেজিতে কথা বললে তিনি সেটা বুঝতে পারে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে এসব পদের পরিবর্তন আনতে হবে।
ইবির প্রধান সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল, বর্তমান প্রশাসন এখনো তাদের পুরোপুরি ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।”
তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, আমাদের যে বিভিন্ন ফাঁকা পোস্ট আছে, সেখানে সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তি নিয়োগ দেওয়া হোক। অবশ্যই নিয়োগগুলো মেধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। উপাচার্য আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। অতীতে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারেও আশ্বস্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে।”
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যদি তাদের কোন দাবি নিয়ে আসে আর সেটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক হয়, তাহলে অবশ্যই সে ব্যাপারে আমরা বিবেচনা করব। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখা অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও আছে, আমি সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কথা বলি।”
তিনি বলেন, “যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন ধারার একটি নব উত্থিত আন্দোলনকারী দল এবং তারা এ বাংলাদেশের পরিবর্তন সাধন করেছে। সেহেতু আমরা অবশ্যই তাদের মূল্যায়ন করব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী