চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালু উত্তোলন ও টপ সয়েল কেটে আবাদি কৃষি জমি ধ্বংসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। অভিযানে সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সমকালের শেষের পাতায় ‘রাঙ্গুনিয়ায় পরিবেশ ধ্বংসে আ’লীগ বিএনপি একাট্টা’ শিরোনাম এ বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই এ্যাকশন শুরু করে প্রশাসন।

বুধবার অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলার জঙ্গল সরফভাটা এলাকায় অনুমোদনহীন ইটভাটা পরিচালনা ও পাহাড় কেটে মাটি দিয়ে ইট প্রস্তুত করা, পরিবেশ ধ্বংসকারী ড্রাম চিমনি ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করায় ক্ষতিকর ড্রাম চিমনি ধ্বংস ও পাহাড়ি মাটি দিয়ে প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।

এছাড়াও দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ধ্বংস করা, জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার ও কৃষি জমির টপ সয়েল কাটার অপরাধে একটি ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ অভিযান চালাকালে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা সহযোগিতা প্রদান করে।

অভিযানের বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান জানান, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালু উত্তোলন ও টপ সয়েল কেটে আবাদি কৃষি জমি ধ্বংসের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইটভ ট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ