ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভারতীয় চোরাচালানের চিনি, জিরাসহ দুই যুবককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।  তাদের মধ্যে একজন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে দাবি করেছেন।

বুধবার বিকেলে পৌর শহরের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

আটক যুবকেরা হলেন জিল্লুর রহমান ওরফে হৃদয় (২৮) ও মো.

মাসুদ রানা (২৭)। জিল্লুর রহমান আমুয়াকান্দা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং মাসুদ রানা রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। জিল্লুর নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলার সমন্বয়ক দাবি করেছেন। 

ফুলপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল হাদি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মেজর ইব্রাহীমের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এসময় ভারতীয় পণ্য গুদামজাত করার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ১২০ বস্তা চিনি এবং ১৫ বস্তা জিরা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, ‘হয়তো তারা আন্দোলনের কর্মী হতে পারেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের চিনি না। আন্দোলনের কর্মী অথবা সমন্বয়ক যেটাই হোক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক’।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ সমন বয়ক সমন বয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

কোরআন পোড়ানোর পরই রাবি থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলসহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আরএমপির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার মো. ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের (তৃতীয় বর্ষ) ছাত্র। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো. মজিবর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখ্শ হল, মতিহার হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআন শরীফের এরূপ অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

আরএমপির বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নির্দেশনায় আরএমপির মতিহার থানা পুলিশের পাশাপাশি আরএমপি সিটিটিসি এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটি চৌকস টিম মামলাটির তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আরএমপি সিটিটিটি বিভাগ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সমন্বিত অভিযানিক দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় ফেরদৌস রহমানকে ময়মনসিংহের ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ফেরদৌস রহমান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেন। তার বক্তব্যসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় মাকে ছেলের মারধর, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন
  • মাছবাহী গাড়ির পানি ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক
  • কোরআন পোড়ানোর পরই রাবি থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত
  • লিফলেট বিতরণ করায় আ.লীগ নেতাকে বেঁধে পুলিশে সোপর্দ
  • ‘জেরিনের বড় ভাই দায়ী’ পোস্ট দিয়ে বাঙলা কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
  • আরও ৯০ থানা-উপজেলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি কমিটি
  • বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৫
  • ময়মনসিংহ মেডিকেলে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের হাতাহাতি
  • শিবির-ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিয়ে করতে চাপ দেওয়ায় খুন