এয়ার কন্ডিশনার (এসি) তৈরিতে ৬৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি শীর্ষস্থানীয় বৈচিত্র্যময় প্রযুক্তি কোম্পানি প্যানাসনিক আজ বাংলাদেশে তৈরি ইনভার্টার এসি লাইন-আপ-কেইউ সিরিজের নতুন পরিসর চালু করেছে।  

নতুন মডেলগুলো স্থানীয় চাহিদা অনুসারে কাস্টমাইজ করা হয়েছে এবং ১.০, ১.৫ এবং ২.০-টন মডেলে পাওয়া যাবে।

কেইউ সিরিজের পাশাপাশি গ্রাহকরা ডব্লিউইউ, এইচইউসহ বিশাল রেঞ্জের মডেল থেকে বেছে নিতে পারবেন। বাংলাদেশে আমাদের অথোরাইজড পার্টনারদের সব রিটেইল আউটলেটে এখন থেকে সব মডেলের এয়ার কন্ডিশনার পাওয়া যাচ্ছে।

পিএলএসআইএনডির প্যানাসনিক মার্কেটিং ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি.

ফুমিয়াসু ফুজিমোরির উপস্থিতিতে মেড-ইন-বাংলাদেশ এয়ারকন কেইউ-সিরিজ উদ্বোধন করা হয়েছে। সার্ক, পিএলএসআইএনডির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মি. ভূপেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং মিডিয়া ম্যাট্রিক্স-জিবিইএসের এমডি মি. সুনীল বাত্রাসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পিএলএসআইএনডির প্যানাসনিক মার্কেটিং ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. ফুমিয়াসু ফুজিমোরি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ প্যানাসনিকের জন্য একটি কৌশলগত দেশ এবং আমাদের নতুন পরিসরের এয়ার কন্ডিশনার চালু করা হয়েছে ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে এবং স্থানীয় পরিবেশের সাথে মানানসই করে ডিজাইন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন থেকে শুরু করে একটি সংযুক্ত, আরামদায়ক, সুবিধাজনক এবং ইনর্ভাটার প্রযুক্তির-প্যানাসনিকের নতুন পরিসরের এসি প্রযুক্তি, স্থায়িত্ব, বিশ্বাস এবং গুণমানের প্রতিশ্রুতি দেয়।

পিএলএসআইএনডির সার্কের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মি. ভূপেন্দ্র ভরদ্বাজ বলেন, আমরা কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার, মৌলিক শীতলকরণ, অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ বায়ু স্বাস্থ্যবিধি, দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত ইন্টিগ্রেশনের (সংযোগ) বাইরেও আমাদের ভোক্তা চাহিদা পূরণে অবদান রাখছি।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ