বরিশালে অটোরিকশার চাপায় শিশু নিহত, সড়ক অবরোধ
Published: 22nd, January 2025 GMT
বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত হলুদ অটোরিকশার চাপায় জান্নাতুল মাওয়া (১০) নামে শিশু নিহত হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নগরীর সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনে দূর্ঘটনা ঘটে।
শিশু নিহতের প্রতিবাদে বিকেল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে স্থানীয়রাও। রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে বিএম কলেজের সামনের সড়ক পারাপারের সময় জান্নাতুল মাওয়াকে ব্যাটারিচালিত হলুদ অটোরিকশা চাপা দেয়। এতে জান্নাতুল ঘটনাস্থলে মারা যায়। অটোরিকশার চালক পালিয়ে যায়। নিহত জান্নাতুল পটুয়াখালী সদরের ফৌজদারি পোল এলাকার মো.
আরো পড়ুন:
রোড ডিভাইডারে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, শ্যালক ও দুলাভাই নিহত
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
বিএম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহাদাত বলেন, ‘‘অটোরিকশার বেপরোয়া গতির কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা শিশু হত্যার বিচারের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক চাই। এছাড়া আমাদের কিছু দাবি রয়েছে, যেগুলো হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী অটোরিকশার চালককে আইনের আওতায় আনতে হবে ও নিহত শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; ক্যাম্পসের সামনে সকল ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে; ক্লাস চলাকালীন কলেজের সামনের রাস্তা ব্যতিত বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে; নথুল্লাবাদ থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করতে হবে এবং এ সড়কে নির্দিষ্ট দুরত্ব পরপর গতিরোধ ও ডিভাইডারের ব্যবস্থা করতে হবে; কলেজের সামনে কোনো চাঁদাবাজ কর্তৃক ফুটপাত ও সড়ক দখল করে দোকান বসানো বন্ধ করার নিশ্চিয়তা প্রশাসনকে দিতে হবে।
বিষয়টি সমাধানের জন্য পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে শিক্ষার্থীরা দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, শিশু নিহতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন অবর ধ সড়ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।