গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 22nd, January 2025 GMT
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা থেকে সরে আসার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৮তম (জরুরি) সভায় গুচ্ছভুক্ত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্মাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্রভাবে গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।