গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা থেকে সরে আসার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৮তম (জরুরি) সভায় গুচ্ছভুক্ত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্মাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্রভাবে গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.

শুচিতা শরমিন বলেন, “আমরা গুচ্ছ থেকে সরে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাই। ইতোমধ্যে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নোটিস আকারে জানিয়ে দিয়েছি। এর আগে আমরা এ নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছিলাম। শিক্ষকেরা এ ব্যাপারে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন।”

ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক

বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ