বন্দরে দিন দুপুরে ২ ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা। আটককৃত ছিনতাইকারীরা হলো বন্দর উপজেলার চর ঘারমোড়া এলাকার মৃত নূর জামাল মিয়ার ছেলে রাসেল (৩৫) ও একই এলাকার মিজান মিয়ার ছেলে মিশুক চালক রিপন (৩২)।

বুধবার (২২ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। এর আগে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর বালুচর এলাকায় ওই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ঘারমোড়া এলাকার জহির উদ্দিন মিয়ার ছেলে সনেট (২৮) তার আত্মীয় বাড়ি বালুচর এলাকায় দাওয়াতে যায়।

ওই সময় ছিনতাইকারী রাসেল ও রিপনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন দাওয়াতে আসা যুবক সনেটকে রাস্তা থেকে জোর পূর্বক তুলে  নির্ঝন এলাকায় নিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

বুধবার সকালে ভুক্তভোগী যুবক সনেট উল্লেখিত ছিনতাইকারিদের চিন ফেললে  এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঘারমোড়া এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ