বন্দরে ১৩৯ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো বন্দর উপজেলার আমৈর বটতলা এলাকার মৃত সফুর উদ্দিন মিয়ার ছেলে অপর মাদক ব্যবসায়ী হাসান (৩৪) ও মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় এলাকার হেলাল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া মৃত সিরাজুল ইসলাম মিয়ার ছেলে আবু মিয়া (৪০)।  

গ্রেপ্তারকৃত ২ মাদক ব্যবসায়ীকে পৃথক মাদক মামলায় বুধবার (২২ জানুয়ারী) দুপুরে এদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টায় বন্দর উপজেলার নয়ামাটিস্থ কান্দাপাড়া কবরস্থানের সামনে রাস্তার উপরে ও বুধবার (২২ জানুয়ারী) দিবাহত রাত সোয়া ২টায় একই উপজেলার আন্দিরপাড়স্থ জনৈক হেলাল উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পৃথক স্থান থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম ও ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি উপ পরিদর্শক মোঃ শরিফ হোসেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় পৃথক মাদক মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ২৯(১)২৫ ও ৩০(১)২৫।

জানা গেছে,  গত মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় বন্দর থানার এসআই মো: শহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বন্দর উপজেলার নয়ামাটিস্থ কান্দাপাড়া কবরস্থানের সামনে রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে ৮৭ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী হাসান (৩৪)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এ ছাড়াও ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি উপ পরিদর্শক মোঃ শরীফ হোসেনসহ সঙ্গী ফোর্স বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় বন্দর আন্দিরপাড়স্থ জনৈক হেলাল উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫২ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবু মিয়া (৪০) নামে আরো এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

চুরির পর গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেল চোর

রাতের আঁধারে গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি করে জবাই করে নিয়ে গেল একদল চোর। গরু চুরি করে জবাই করে মাংস নিয়ে গেলেও কেউ টের পায়নি। এরকম ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর শহরের পশ্চিম পাড়া এলাকায়।

শনিবার (১ মার্চ) রাতে ১টার দিকে বাসাইল পৌরসভার কাটাখালী পাড়া এলাকা থেকে তিনটি গরু চুরি করে বাসাইল পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের পাশে চোরেরা গরুগুলো জবাই করে মাংস নিয়ে যায়।

গরুর মালিক রুবেল খান বলেন, “গতকাল শনিবার ৯০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। রাত ১২টার সময় গরু দেখে শুয়ে পড়ি। সেহেরির সময় আমার ভাই গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে গরু নাই। তখন আশপাশে গরু খুঁজতে থাকি। সকালে জমির আইল দিয়ে গরুর পায়ের দাগ দেখে ঘটনাস্থল পৌঁছাই। সেখানে তিনটি জবাইয়ের সমস্ত আলামত দেখা যায়। আমার একটি ষাঁড় গরু ছাড়াও আরও দুইজনের একটি করে দুটি গাভি চুরি হয়েছে। তিনটি গরুর আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা হবে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।”

গরুর মালিক ফজলু খান বলেন, “শখ করে দুই মাস আগে গাভীটি কিনেছিলাম। গাভীটি ৫ মাসের গর্ভবর্তী ছিল। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গাভীটি কিনেছিলাম। এখন আনুমানিক এক লাখ টাকা হবে। রাত ১২টা পর্যন্ত গরু গোয়াল ঘরেই ছিল। পাশের বাড়িতেই গরুর চুরি হয়েছে শুনতে পাই। তারপর আমাদের গোয়াল ঘরে দরজার তালা কাটা ও গরুর সাথে শিকল কাটা দেখতে পাই। গরুটিও ছিল না। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর সকালে বাসাইল পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের পাশে গিয়ে দেখতে পাই গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে চোরেরা।”

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, গরু চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুরির পর গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেল চোর