তামিম-মালানের গোল্ডেন ডাক, বিপর্যয়ের পর লড়াকু পুঁজি বরিশালের
Published: 22nd, January 2025 GMT
০, ০, ৫— ফরচুন বরিশালের তামিম ইকবাল, ডেভিড মালান ও মুশফিকুর রহিমের রান। খুলনা টাইগার্সের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের স্কোরবোর্ডের চিত্রটা ছিল এরকম ১৬/৩।
তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালানকে গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবারের বিপিএলে দ্বিতীয়বার তামিমের এমন কিছুর তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো। সব মিলিয়ে বিপিএলে অষ্টম। মুশফিকুর রহিম একটু পরই রান আউট।
শুরুর সেই বিপর্যয় সামলে বরিশালের ২০ ওভার শেষে রান ১৬৭/৯। বুঝতে বাকি থাকার কথা না, মিডল ও লেট অর্ডারের ব্যাটে ভর করে বরিশাল সম্মানজনক স্কোর তুলেছে খুলনার বিপক্ষে। ওপেনিংয়ে তাওহীদ ৩০ বলে ৩৬ রানে ফেরার পর মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আরো পড়ুন:
আমি ন্যাচারালি এভাবেই খেলি- ২৯ ছক্কার রহস্য নিয়ে তানজিদ
উসমান-বিনুরার আচমকা বাদ পড়া নাকি অন্য কিছু!
পরিস্থিতি সামলে যেভাবে উইকেট আগলে রেখেছেন তাতে বাহবা পেতেই পারেন এই ব্যাটসম্যান। বিপর্যয়ে প্রতি আক্রমণে গিয়ে তার সহজাত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় বরিশালের রানের চাকা। জিয়াউর রহমানের বলে আমের জামালের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৫ বলে ৫০ করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়।
অষ্টম উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন রিশাদ হোসেন। ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন দুজন। তাতে বরিশালের স্কোরবোর্ডের চিত্র পাল্টে যায়। শেষ ৪ ওভারে ৬১ রান পায় বরিশাল। যার পুরোটাই কৃতিত্ব রিশাদ হোসেনের। এসেই জিয়াউর রহমানকে তিন চার হাঁকান রিশাদ। ইনিংসের শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ৩৯ রান করেন রিশাদ। ৫ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ২০৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি। শেষ ওভারে তানভীর ১টি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান বরিশালের পুঁজিতে রাখে বিরাট অবদান।
খুলনার বোলিং ছিল দারুণ। শেষ দিকে কিছু রান বাড়তি হলেও বরিশালের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিলেন তারা। ৩ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। ২ উইকেট নেন সালমান এরশাদ।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচতলা বাড়ির মালিকও টিসিবির কার্ড নিয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পাঁচ-সাততলা বাড়ি রয়েছে এমন লোকও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ে দেশে এত দুর্বৃত্তায়ন তৈরি হয়েছিল যে, এর থেকে টিসিবি ও বাজার ব্যবস্থাপনা রেহাই পায়নি। এই দুর্বৃত্তায়ন সামাজিক এবং সামগ্রিকভাবে দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। সেসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে টিসিবির কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় আর্মি গলফ ক্লাবে ‘টিসিবির সঙ্গে ব্যবসা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি আয়োজিত এ সভায় বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক, বাজারজাতকারী ও পাইকারি ব্যবসায়ীসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। সরকারি কাজকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ কার্ড পায়নি। পাঁচ-সাততলা বাড়ি রয়েছে এমন লোকও টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়েছেন। যাচাই করে দেখা গেছে, প্রশাসনে চাকরি করেন এমন ব্যক্তির পরিবারে তিনটি কার্ড রয়েছে। এভাবে যাচাই করে ভুয়া ৪০ লাখ কার্ডধারীকে টিসিবির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ছিল টিসিবিতে। বাজার ব্যবস্থাপনায় সিন্ডিকেট ছিল। সেগুলো থেকে উত্তরণে বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। টিসিবি প্রতি বছর ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য কিনে। এই টাকায় কীভাবে আরও বেশি পণ্য কেনা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হচ্ছে। রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানি বন্ধের কারণে বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে। টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে পণ্য কিনতে গেলে বাজারে প্রভাব পড়ে। সেজন্য কিছু পণ্য টিসিবি নিজেরা আমদানি করবে।
এ সময় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ-অনুযোগের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পণ্য সরবরাহকারীদের লেনদেনে কীভাবে আরও স্বচ্ছতা ও গতিশীল করা যায় সে ব্যাপারে কাজ চলছে।
সভায় টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়সল আজাদ বলেন, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে। যার জন্য নতুন আবেদনকারী ও পুরাতন ডিলারদের ডিসি অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। ১ জুলাই থেকে এসব ডিলারের মাধ্যমে কাজ শুরু করবে টিসিবি।
ভোজ্যতেলসহ প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য টিসিবি সরাসরি আমদানি করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংস্থাটি।
টিসিবির চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রকৃত উপকার ভোগীরাই যেন ফ্যামিলি কার্ড পায় সেজন্য কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ কার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এক কোটি পূরণে বাকি ৪০ শতাংশ কার্ড জুনের মধ্যে শেষ করা হবে।
এর আগে মুক্ত আলোচনায় টিসিবির সঙ্গে যারা ব্যবসা করেন এবং ব্যবসা করতে চান এমন অনেক ব্যবসায়ী তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন।