বিএনএমসির ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
Published: 22nd, January 2025 GMT
ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের (বিএনএমসি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার এ মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, বিএনএমসির ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণের বেশকিছু অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধান করে দুদক। অনুসন্ধানে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলা করা হয়েছে।
২০২৩ বছর ২৩ নভেম্বর ‘ভুয়া বিল বানিয়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সমকাল। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তার কয়েকদিন পর দুদকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার ভুয়া সিল বানিয়ে কাউন্সিলের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ নাসিং কাউন্সিলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও ভুয়া মামলা দেখিয়ে মামলা পরিচালনা ব্যয় বাবদ টাকা আত্মসাৎ করেছেন রাশেদা। রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মামলাটি সঙ্গে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাশিদা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
নাটোরের লালপুরে আইনজীবী সাধন কুমার দাসের (৪২) বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন পরিবারের তিন সদস্য। বুধবার রাত ১২টার পর লালপুর সদর ইউনিয়নের চকবাদেকুলপাড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।
ডাকাতরা বাড়ির পেছনের গেট ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সাধন কুমার দাসের ভাতিজা রিপন কুমার দাস (৩৫) এবং রিপনের স্ত্রী সুমী রানীকে (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় এবং লুট করা হয় প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
আহতদের মধ্যে সাধন কুমার দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাকাতদের হাতে ছিল রাম দা, চায়নিজ কুড়াল এবং হাঁসুয়া। তারা পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে, এরপর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দিতে অস্বীকৃতি জানালে কুপিয়ে জখম করে।
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান জানান, রাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।