মায়ের ক্যান্সার চিকিৎসায় সহযোগিতা কামনা হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর
Published: 22nd, January 2025 GMT
ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে চান দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মিহির চক্রবর্তী।
নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলা থেকে পড়তে আসা মিহির হাবিপ্রবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার মা ব্রেস্ট ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, মিহিরের মা গত ৪ মাস আগে থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ জন্য তিনি সমাজের বিত্তবান ও দানশীলদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন।
মিহির বলেন, “আমার ৪৫ বছর বয়সী মা কয়েক মাস ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ক্যান্সার ব্রেন ও ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। আমাদের সঞ্চয়ের পুরো অর্থ মায়ের চিকিৎসায় শেষ হয়ে গেছে। আর্থিক সংকটের কারণে টিউশনি করে আমার লেখাপড়ার খরচ চালাই এবং পরিবারকে সহযোগিতা করি।”
তিনি বলেন, “আপনাদের সবার প্রতি আমার আকুল আবেদন, এ দুর্দিনে আপনারা সামর্থ্য অনুযায়ী আমাকে কিছু আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”
তার সহপাঠী রাহুল পাল বলেন, “আপনারা আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ি একজন মায়ের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করুন। আপনাদের সহযোগিতার মাধ্যমে হয়তো একটি পরিবার আলোর দেখা পেতে পারে।”
আর্থিক সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা- মিহির ০১৭৬৭৫১৫০৩৮ (বিকাশ, ব্যক্তিগত) এবং হিসাব নাম রাহুল পাল, হিসাব নম্বর ২০৫০৭৭৭০২০১০৯৮৭৮৩, ইসলামী ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংকিং)।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর থ ক স সহয গ ত পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ