৫০০ বিলিয়ন ডলারের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানির ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামো উন্নত করার জন্য টেক্সাসভিত্তিক প্রযুক্তি সংস্থা ওরাকল, জাপানের সফটব্যাংক এবং চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআইর সঙ্গে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের যৌথ উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ উদ্যোগটি ‘স্টারগেট’ নামে পরিচিত। 

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। ওই অনুষ্ঠানে সফটব্যাংকের সিইও মাসায়োশি সন, ওপেনএআইর সিইও স্যাম অল্টম্যান এবং ওরাকলের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ল্যারি এলিসন যোগ দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসে এই তিন কোম্পানির কর্তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেছেন, পরিকল্পনাটি ‘আমেরিকার সামর্থ্যে একটি দৃঢ় বিশ্বাসের ইঙ্গিত হিসেবে কাজ করবে।’

প্রকল্পটির জন্য প্রাথমিকভাবে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে এবং পরবর্তী চার বছরে এটি ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এই অর্থ ব্যবহার করে ‘বিশাল ডেটা সেন্টার’ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। সফটব্যাংকের সিইও মাসায়োশি সন এ প্রকল্পের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই ৫০০ ব ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ