প্রবাসী প্রেমিকের জন্য বাড়ি ছাড়েন নীতু, পরিচয় ঘটে অন্য যুবকের সঙ্গে...
Published: 22nd, January 2025 GMT
জাহিদ নামের ছেলেটি বেশ শান্ত। একা মানুষ। পৃথিবীতে বলার মত তেমন কেউ নেই তার। নদীর পাড়ে বা পার্কে বসে থাকাই যার প্রধান কাজ। পাশাপাশি ছোট চাকরিও করে। অন্যদিকে ধনীর দুলালি নীতু। জেদি স্বভাবের মেয়ে। প্রেম করে প্রবাসীর সঙ্গে। এক সময় প্রেমের টানে বের হয়ে যায় বাসা থেকে। নানান নাটকীয়তার পর সে প্রেমিকের সাথে আর দেখা হয় না নীতুর। কিন্তু পরিচয় হয়ে যায় জাহিদের সাথে। এখানেও বিপদ। আশেপাশের লোকজন কোনওভাবেই চায়না নীতু জাহিদের সাথে মিশুক। এভাবে আগায় গল্পের প্লট।
এমন গল্প নিয়েই ইশতিয়াক আহমেদ নির্মাণ করেছেন নাটক ‘তোমার পাশেই রেখো’। যাতে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছন আরশ খান ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। আগামী ২৩ জানুয়ারি গানচিল ড্রামা এন্ড সিনেমার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর, আনন্দ রিভারভিউ পার্ক, উত্তরাসহ বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে শুটিং করা হয়েছে নাটকটি।
নাটক প্রসঙ্গে আরশ খান বলেন, “গল্প-নির্ভর কাজ করতে আমি বরাবরই পছন্দ করি। ইশতিয়াক ভাইয়ের সাথে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। উনার গল্প বলার ধরনটা খুব ভালো লেগেছে। গল্প, নির্মাণ সবকিছু মিলিয়ে দর্শক বেশ সাড়া দেবে বলেই আমার ধারণা।
সুনেরাহ বিনতে কামাল বলেন, “নাটকের গল্পটা ইশতিয়াক ভাইয়ের। পরিচালনাও উনার। নির্মাণটা দর্শকদের ভালো লাগবে। আরশ আর আর আমি ভালো বন্ধু। আমাদের একসাথে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। অনেকগুলো নাটক আমরা একসঙ্গে করেছি। আমাদের বোঝাপড়া ভালো।”
এই গল্পে আরও দেখা যাবে বড়দা মিঠু, বাপ্পী আশরাফ, শসী আফরোজ, রাজ আরিয়ান, আকতার এবং আরোও অনেককে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আরশ খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’