জাহিদ নামের ছেলেটি বেশ শান্ত। একা মানুষ। পৃথিবীতে বলার মত তেমন কেউ নেই তার। নদীর পাড়ে বা পার্কে বসে থাকাই যার প্রধান কাজ। পাশাপাশি ছোট চাকরিও করে। অন্যদিকে ধনীর দুলালি নীতু। জেদি স্বভাবের মেয়ে। প্রেম করে  প্রবাসীর সঙ্গে। এক সময় প্রেমের টানে বের হয়ে যায় বাসা থেকে। নানান নাটকীয়তার পর সে প্রেমিকের সাথে আর দেখা হয় না নীতুর।  কিন্তু পরিচয় হয়ে যায় জাহিদের সাথে। এখানেও বিপদ। আশেপাশের লোকজন কোনওভাবেই চায়না নীতু জাহিদের সাথে মিশুক। এভাবে আগায় গল্পের প্লট। 

এমন গল্প নিয়েই ইশতিয়াক আহমেদ নির্মাণ করেছেন নাটক ‘তোমার পাশেই রেখো’। যাতে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছন আরশ খান ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। আগামী ২৩ জানুয়ারি গানচিল ড্রামা এন্ড সিনেমার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে। 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর, আনন্দ রিভারভিউ পার্ক, উত্তরাসহ বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে শুটিং করা হয়েছে নাটকটি।

নাটক প্রসঙ্গে আরশ খান বলেন, “গল্প-নির্ভর কাজ করতে আমি বরাবরই পছন্দ করি। ইশতিয়াক ভাইয়ের সাথে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। উনার গল্প বলার ধরনটা খুব ভালো লেগেছে। গল্প, নির্মাণ সবকিছু মিলিয়ে দর্শক বেশ সাড়া দেবে বলেই আমার ধারণা।  

সুনেরাহ বিনতে কামাল বলেন, “নাটকের গল্পটা ইশতিয়াক ভাইয়ের। পরিচালনাও উনার। নির্মাণটা দর্শকদের ভালো লাগবে। আরশ আর আর আমি ভালো বন্ধু। আমাদের একসাথে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। অনেকগুলো নাটক আমরা একসঙ্গে করেছি। আমাদের বোঝাপড়া ভালো।” 

এই গল্পে আরও দেখা যাবে বড়দা মিঠু, বাপ্পী আশরাফ, শসী আফরোজ, রাজ আরিয়ান, আকতার এবং আরোও অনেককে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আরশ খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত মৌলভীবাজার

ঈদের লম্বা ছুটি আর শুকনা মৌসুম থাকায় মৌলভীবাজারে এবার লাখো পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে দৃষ্টি নন্দন নানা পর্যটন স্পট। রয়েছে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য ভালোমানের হোটেল মোটেল ও রির্সোট। হোটেল-রিসোর্ট মালিকরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। চলছে সাজসজ্জার কাজ।

এদিকে পর্যটক নিরাপদে চলাচলে প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সবুজের সমারোহ, চা বাগান, হাওর টিলার এই জনপদে চমৎকার প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট-গুলো নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের প্রতীক।

হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, প্রাণ প্রকৃতি আর জীববৈচিত্র্যের আধার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ অর্ধশত পর্যটনকেন্দ্রে বছর জুড়ে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। তবে প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে আসেন সবুজের রাজ্যে অগনিত ভ্রমণ পিপাসু।

এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আগেভাগেই বেশিরভাগ হোটেল রিসোর্ট বুকিং সম্পন্ন হয়ে গেছে। পর্যটকদের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে হোটেল রিসোর্টগুলোতে নতুন সাজসজ্জার পাশাপাশি থাকছে বিশেষ অফার ও সেবার ব্যবস্থা। 

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এবারের ঈদে ভালো ব্যবসা হবে তাদের। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম আহমেদের সাথে। 

তিনি বলেন, “ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতে মানুষজনের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। আমরা তাদের বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংঘের সদস্য সচিব কাজী সামছুল হক বলেন, “এবারের ঈদে লম্বা ছুটি রয়েছে। মনে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘোরাফেরার বড় সুযোগ। আর এই সুযোগ তারা হাতছাড়া করবেন না। আশা করি পর্যটকের ঢল নামবে মৌলভীবাজারে। ইতোমধ্যে আমাদের কটেজ-গুলো বুকিং প্রায় শেষ। বাকীগুলো কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।”

শ্রীমঙ্গল রাধানগর পর্যটন কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব মো. তারেকুর রহমান পাপ্পু বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে আমরা পর্যটকদের সাচ্ছ্যন্দবোধে ঘুরাফেরা করার জন্য সবধরনের সেবা প্রদান ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। আমাদের এলাকার কোন বদনাম যেন না হয়, সে ব্যবস্থা করব।”

চান্দের গাড়ির চালক তনিজিস মিয়া বলেন, “রমজানে আমাদের মান্দা যাচ্ছে। ঈদে আশা করি রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক আসবেন। এতে আমাদের আয় রোজগার ভালো হবে।”

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “পর্যটকদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণের জন্য প্রসাশন তৎপর রয়েছে। এবার ঈদ মৌসুমে পর্যটন খাত যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতেও আসবে গতি।”

ট্যুরিস্ট পুলিশ ইনচার্য কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রসাশক ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় করে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব।”

জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তার টহল জোরদার করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে যেন আগত পর্যটকদের কোন সমস্যা না হয়। এখানে পাঁচতারা মানের কয়েকটি হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট আছে। আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে।”

ঢাকা/আজিজ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ