শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক ছাড়পত্র
Published: 22nd, January 2025 GMT
আমদানিকৃত শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে বন্দর খালাসে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএসটিআইর সেবা সহজীকরণ ও ব্যবসায়ীদের বন্দর জরিমানার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত একটি পত্র জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার সময়ে সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ২৯৯টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করেছে। বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত এই পণ্যসমূহের মধ্যে আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫(৪৮)-এর বিধানমতে পরিশিষ্ট-৪ এর তালিকায় বর্ণিত মোট ৭৯টি পণ্য দেশে আমদানি করা হলে কাস্টম কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত শুল্কায়নের পূর্বে আমদানিকারককে বিএসটিআই হতে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী পরীক্ষণপূর্বক ছাড়পত্র গ্রহণ এবং উক্ত ছাড়পত্রের কপি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
শিল্পের কাঁচামাল সরাসরি বাজারে বিক্রয়-বিতরণ করা হয়না বিধায় বিএসটিআই'র বাধ্যতামূলক পরীক্ষণ ও ছাড়পত্রের আওতাভুক্ত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানিকৃত পণ্যসমূহের খালাস প্রক্রিয়া সহজিকরণের লক্ষ্যে কনসাইনমেন্ট ভিত্তিতে কিছু শর্তে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বিএসটিআই যেসকল শর্তে শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে বন্দর খালাসে সাময়িক ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে: আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণক, কোন গোডাউনে কাঁচামাল সংরক্ষণ করা হবে তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাসহ যে বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করা হয়েছে ওই বন্দর সংশ্লিষ্ট বিএসটিআই অফিসে কনসাইনমেন্টের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য আবেদন দাখিল করা, বিএসটিআই কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দর হতে উক্ত পণ্যের নমুনা সিল করে পরীক্ষার জন্য বিএসটিআইর সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে প্রেরণের নিমিও নমুনা জমাদানপত্র ও আমদানি মূল্যের ওপর হার অনুযায়ী প্রযোজ্য ছাড়পত্র ফি (অফেরতযোগ্য) পরিশোধের জন্য বিলপত্র আমদানিকারক বরাবর ইস্যু করা; আমদানিকারক বা তার প্রতিনিধি সিলকৃত নমুনা বিএসটিআইর সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমাদানের পর পরীক্ষণ ফি ও ছাড়পত্র ফি (অফেরতযোগ্য) পরিশোধের রশিদ বিএসটিআইর সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমাদানের পর বিএসটিআই কর্তৃক উক্ত কনসাইনমেন্টের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদান করবে। পণ্য পরীক্ষণের পর বাংলাদেশ মান অনুযায়ী উত্তীর্ণ হলে চূড়ান্ত ছাড়পত্র প্রদান করা হবে।
তবে চূড়ান্ত ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত ওয়্যারহাউজ বা গোডাউনে ইনট্যাক্ট অবস্থায় সংরক্ষণ করা না হলে; ছাড়পত্র প্রাপ্তির আগে মালামাল ব্যবহার করা হলে বা শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় আমদানিকৃত ওই পণ্য বিক্রি-বিতরণ করা হলে বিএসটিআই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদান করা হবে না।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’