হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক জন নিহত
Published: 22nd, January 2025 GMT
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার কালনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাজী দিপু (৪০) ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালনী গ্রামের ফরিদ মিয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্ত মিয়ার গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে দুপক্ষের লোকজন একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে।’’
ওসি বলেন, ‘‘বুধবার বিকেলে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১৬ জন আহত হন। এর মধ্যে, ফরিদ মিয়ার পক্ষের কাজী দিপুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’
ঢাকা/আজহারুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘কুয়েটসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি, অস্থিরতা দ্রুতই কেটে যাবে’
কুয়েটসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন দ্রুতই সব অস্থিরতা কেটে যাবে। তিনি বলেন, কুয়েটের সমস্যাসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এটির রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। আমরা কোনো বিশেষ ব্যক্তি নিয়ে কথা বলবো না, পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়টি তদন্ত কমিটি সবার সাথে কথা বলছে। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যে সমাধান হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান বিশৃঙ্খলা ও দাবি-দাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. আবরার বলেন, বিগত সময়ে ছাত্ররা যখনই কোনো দাবি উপস্থাপন করত, রাষ্ট্র তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। এখন যেহেতু আগের পরিস্থিতি নেই, তাই সবাই একসাথে তাড়াহুড়ো করে দাবি-দাওয়া তুলতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি হচ্ছে। দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পর দাবি উত্থাপনের সুযোগ এসেছে। ফলে বর্তমান সরকার এসব ক্ষেত্রে নমনীয় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদেরকে আশ্বস্ত করছি তাদের দাবিগুলো সংবেদনশীলতার সাথে দেখে নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে উপযুক্ত সমাধানের চেষ্টা করবে সরকার।
সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে ‘আগামীর শিক্ষা: প্রেক্ষিত বর্তমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, স্কুলশিক্ষক রেজাউল মৃধা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও উন্নয়ন সংস্থার আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম স্টালিন, নন্দিতা সুরক্ষার প্রকল্প পরিচালক তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবরাব নাদিম ইতু প্রমুখ।