আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ‘বয়কট’ সমাধান নয়: বাটলার
Published: 22nd, January 2025 GMT
তালেবান সরকারের শাসনামলে আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার ও নারী ক্রিকেট অবহেলিত। বিষয়ে সোচ্চার বিশ্বের প্রথমসারির বেশ কয়েকটি দেশ। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সবচেয়ে এগিয়ে। কারণ, তারা নারী অধিকার হরণ করার অভিযোগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা থেকে বিরত থাকছে কিংবা বিরত থাকতে চাপ প্রয়োগ করছে দেশ দুটি।
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একই গ্রুপে পড়েছে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড। এবার ব্রিটেনের ১৬০ জন সাংসদ দাবি তুলেছেন তারা যেন নারীদের অধিকার হরণ করা আফগানিস্তানের মতো একটি দেশের বিপক্ষে না খেলে। বিষয়টি তারা ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) জানিয়েছেন।
তবে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচ বয়কট করা আসলে সমাধান নয়। তাদের উচিত এই ম্যাচটি খেলা। তিনি এও জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ইসিবি’র প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।
আরো পড়ুন:
উসমান-বিনুরার আচমকা বাদ পড়া নাকি অন্য কিছু!
তানজিদের ব্যাটে হেসে খেলে ঢাকার চিটাগং জয়
বাটলার বলেছেন, ‘‘এটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। আর একজন খেলোয়াড় হিসেবে এই বিষয়গুলো আমাদের জানানো হয়। বিশেষজ্ঞরা ভালো জানেন এই সম্পর্কে। সুতরাং আমি চেষ্টা করছি রব কি’র (ইসিবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর) সঙ্গে আলোচনা করার এবং বিষয়টিকে যারা উপর মহলে আছেন তাদের দেখার অনুরোধ করব। আমি মনে করি না বয়কট কোনো সমাধান।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না রাজনৈতিক পরিস্থিতি খেলার ওপর প্রভাব ফেলুক। আমরা আশা করছি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওই ম্যাচটি আমরা খেলতে পারব এবং ভালো একটি টুর্নামেন্ট পাব।’’
এদিকে ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড জানিয়েছেন, তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন আইসিসির মাধ্যমে বিষয়টির একটি সহজ সমাধান আনার। কারণ, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের বিষয়ে আইসিসির কোনো বিধি-নিষেধ নেই।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে। ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে তারা খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর ০১ মার্চ গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে যুবদলের কমিটি ঘোষণা, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল-সংবাদ সম্মেলন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দুই কমিটির সদস্যসচিবসহ অনেক নেতা কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা কমিটি বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে একাংশ ও রাত আটটার দিকে বিপক্ষে অপর অংশ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এরপর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে দুপক্ষ।
আকবর হোসেনকে রায়পুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও হাবিবুর রহমানকে সদস্যসচিব করে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া নুর এ হেলাল ওরফে মামুনকে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ও জাহিদ মোহাম্মদকে সদস্যসচিব করে ২৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান ও পৌর যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদ মোহাম্মদের নেতৃত্বে কমিটি বয়কট করে বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা বিগত দিনে ধানের শীষের নির্বাচন না করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আকবর হোসেন ঠিকাদারি করেন। তিনি গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ঠিকাদারি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। পৌর কমিটির আহ্বায়ক নুর এ হেলাল পৌরসভার চাকরিজীবী। এ ছাড়া কয়েকজন প্রবাসে ছিলেন। এসব ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি ঘোষণার কারণে আমরা বয়কট করেছি। একই সঙ্গে কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছি।’
রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নুর এ হেলাল পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, তাঁদের সম্পর্কে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও দলের জন্য নিবেদিত। ত্যাগী নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
গতকাল লক্ষ্মীপুরে যুবদলের ১১টি শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তিগুলো প্রকাশ করা হয়। এসব কমিটির অনুমোদন দেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান ও সদস্যসচিব আবদুল আলিম হুমায়ুন।
কমিটিগুলো হলো লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, সদর উপজেলা (পূর্ব), সদর উপজেলা (পশ্চিম), রামগঞ্জ উপজেলা, রামগঞ্জ পৌরসভা, রায়পুর উপজেলা, রায়পুর পৌরসভা, চন্দ্রগঞ্জ থানা, রামগতি উপজেলা, রামগতি পৌরসভা ও কমলনগর উপজেলা।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক একজন সংসদ সদস্য রায়পুর উপজেলায় স্বৈরাচারীভাবে দল চালাচ্ছেন। ব্যক্তিস্বার্থে তিনি দলকে দ্বিধাবিভক্ত করে রাখছেন দীর্ঘ বছর। তাঁর পকেটের ব্যক্তিদের আহ্বায়ক না করায় ঘোলা পানিতে তিনি মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।