রূপগঞ্জে ১৪টি স্কুল ও মাদ্রাসার সমন্বয়ে ৫৩ তম আন্ত: স্কুল ও মাদ্রাসার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার আমদিয়া কৃষক-শ্রমিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিদের ছোট, বড় ও মাঝারী ৩ ভাগে ভাগ করে দৌড়, দীর্ঘ লাফ, উচ্চ লাফ, গোলক নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন, হ্যান্ড বল, ভলি বল, দড়ি ঘোড়ানো সহ বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠান হয়। পরে প্রতিটি খেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় প্রতিযোগির হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু। এতে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সিকদারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ্যাড.

হেলাল উদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন মুন্সি, ৬নং ওয়ার্ল্ড যুবদলের সভাপতি আব্দুল আউয়াল, ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন রাজ, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাসকিন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাবেক সহ-সভাপতি বিপ্লব শেখ, ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসাইন পাপ্পু।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা বাবুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, ক্ষোভ

আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক মামলার আসামি ও কারা নির্যাতিত হয়েও সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

গত ১৪-১৫ বছর ধরে সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি করা হয় জহিরুল ইসলাম বাবুকে। আওয়ামীলীগের আমলে অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকতে পারেনি সে। গায়েবী মামলায় পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে দিনে পর দিন অন্যত্র থাকতে হয়েছে তাকে। 

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপেম্বর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ ৫৮ দিন কারাবন্দি থাকার পর জামিনে বেরি আসে জহিরুল ইসলাম। সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কর্মী হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করতেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

আইলপাড়া এলাকার মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলায় আসামী করা হয়। এরমধ্যে তিনটি মামলার তারিখ হলো-২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও), ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর (নাশকতা) ও ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও)।

৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, জহিরুল ইসলাম বাবু আমাদের দলের একনিষ্ঠকর্মী। কমিটির সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগের আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে জেল খেটেছে। তাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার নিন্দা জানাই।

৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, দলের দু:সময়ের কান্ডারী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। দলীয় সকল কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থক নিয়ে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল। ফ্যাসিস্ট  আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক গায়েবী মামলার আসামী করা হয় জহিরুল ইসলামকে। 

পুলিশের তৎপরতার কারণে বাসায় থাকতে পারেনি দিনের পর দিন। ৫ আগস্টের পর একটি চক্র অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য জহিরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ বাবু তাদের অবৈধ সুবিধার জন্য বাধা। দলের একজন পরিক্ষিতকর্মী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। তাকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র আমরা বরদাস্থ করবো না।

এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, জহিরুল ইসলাম বাবু কারা নির্যাতিত ও ত্যাগি নেতা। তার সম্পর্কে দলের সিনিয়র নেতারা অনেক ভালো জানেন। 

দলের কর্মী-সমর্থকদের সাথে জহিরুল ইসলাম বাবুর অনেক ভালো সম্পর্ক। দলের জন্য মামলার আসামি হয়ে জেল খাটার পরও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে সে আপোষ করে নাই।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ