গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দশটি পরিবারের ঘরবাড়ি, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোটরসাইকেল, গবাদিপশু ও ঘরের আসবাবপত্র পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলা। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের নীলকন্ঠপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সকালের দিকে নীলকন্ঠপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম, ওয়াহেদ আলীর ছেলে ইমরান আলী, ইজার উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম এবং শরিফুল ইসলাম, শহিদ ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, মিটু ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আনারুল ইসলামসহ দশটি পরিবারের ঘরে এবং গোয়াল ঘরে আগুন লাগে। 

আগুনে ঘরে থাকা মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এসময় গোয়াল ঘরে থাকা সাতটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শালমারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সঞ্জীব হোসেন পলাশ বলেন, “উপজেলা শহর থেকে অনেক গ্রামটি অনেক দূরে হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই গরুসহ সবকিছু পুড়ে যায়। আগুনে নিমিষেই পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে গেল।”

গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে আমরা পৌঁছানোর আগেই তাদের সবকিছু পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের চেষ্টায় কিছু কিছু আসবাবপত্র ও গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া গেলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২০ লাখ টাকা।”

ঢাকা/মাসুম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ