স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ফের বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রায় ৫ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।

গত ১৮ নভেম্বর ও ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না আসায় এবার শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রশাসন বারবার শুধু আমাদের আশ্বাসই জানিয়ে আসছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দৃষ্টিগত এখনো কিছু করতে পারেনি। উপরন্তু হল না থাকায় আবাসন সংকটের পাশাপাশি মহিলা কলেজ ও কমিউনিটি সেন্টারে ক্লাস চলায় আমরা একাডেমিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের শ্রেণিকক্ষ সংকট।”

এনিয়ে, কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে। পরে তা স্থগিত করা হয়। কিন্তু কি কারণের স্থগিতা করা হয়েছে তা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ছাত্রসমাজ। এতে শাহজাদপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারী) সকালে শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা ভবনের সামনে এসে মানববন্ধন করেন তারা।

২০১৫ সালের ৮ মে বিশ্বকবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ১১ মে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ আইন, ২০১৫’-এর খসড়া অনুমোদন পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সংসদে পাস হয় ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন’। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.

এস এম হাসান তালুকদার।

ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প

ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।

ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।

ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।

মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ