কিশোরগঞ্জে সনাক সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা, টিআইবির উদ্বেগ
Published: 22nd, January 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা সভাপতি ম. ম. জুয়েলকে আসামি করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েলকে অহেতুক হয়রানি না করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত তহমুল ইসলাম মাজহারুল নামে এক ব্যক্তি গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এতে ১২৪ আসামির মধ্যে টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গঠিত সনাকের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি ম.
এটি জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় যথেচ্ছ আসামি করার প্রবণতার নজির উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, এ ধরনের মামলা একদিকে যেমন ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নজিরবিহীন সহিংসতার জন্য প্রকৃত দায়ীদের জবাবদিহির সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে, অন্যদিকে নিরপরাধ অনেকের জন্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করছে। বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে দেশ-বিদেশে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ঝুঁকিও তৈরি করছে। মাজহারুলের মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকেও আসামি করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে সনাকের জেলা সভাপতির নাম দেখে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, প্রতিটি মামলাই যাচাই-বাছাই হচ্ছে। যারা প্রকৃত দায়ী, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। জুয়েলের বিষয়টিও যাচাই করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট আইব ক শ রগঞ জ ট আইব
এছাড়াও পড়ুন:
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নসরুল কদির
চার মাস পর উপাচার্য পেয়েছে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এস এম নসরুল কদিরকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। একই সঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষও। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃত্ব ফিরে পায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাদের নিয়ন্ত্রণেই
বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয় গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত।
উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. নসরুল কদিরকে ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিয়োগের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন এবং আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যেকোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিনের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।