সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা`কে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
Published: 22nd, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতাকে চাঁদা না দেয়ায় এ.এন.জেড ((ANZ)) টেক্সটাইল মিলের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা গোলজার হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুবদল নেতা এমদাদুল হক দিপু।
বুধবার(২২ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন এ মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন ব্যবস্যায়ী। গত বছর আমি জমি ক্রয় করে উপজেলার জামপুরে একটি টেক্সটাইল মিলের নির্মাণ কাজ শুরু করি৷ কিন্তু ৫ আগষ্টের পর স্থানীয় কথিত যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়ার নেতৃত্বে দিপু ও মুসা ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি আশরাফ ভূইয়ার নেতৃত্বে ১০০-২০০ সন্ত্রাসীদের নিয়ে নির্মাণাধীন কাজে বাঁধা দিয়ে ১ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যার পরিপেক্ষিতে কোর্টে মামলা দায়ের করি। তারা আমার মালামাল লুট করে এখন তারাই আমার নামে মিথ্যে চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে। আমি প্রশাসনসহ বিএনপির কর্তৃপক্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন জানান, আমি কখনো এলাকায় কোনো খারাপ কাজে সম্পৃক্ত নই। আমার এলাকায় হওয়ায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আমার কাছে এসে সহযোগিতা চায়। আমি তখন সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করলে তারা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ ও তথ্যানুযায়ী সংবাদ প্রকাশ করে। এর পরে গত কাল যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়ার সহচোর উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি দিপু কোর্টে ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। আমি এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অভিযুক্ত উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ ভুইয়া বলেন,নির্মাণাধীন জায়গাটি আমার বন্ধু যুবদল নেতা দিপুর। আনোয়ার হোসেন জোড় করে দখল করে রেখেছে৷ আমাদের নামে মামলা দেয়ায় তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরাও মামলা দিয়েছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’