আড়াইহাজারে একরাতে ২ বাড়ীতে ডাকাতি
Published: 22nd, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ২ বাড়ীতে ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার লালুর কান্দি ও কলাগাছিয়ায় এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয় ২ জন।
জানা গেছে, রাত আড়াইটায় ১০/১৫ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল হাইজাদী ইউনিয়নের রাইনাদী কলাগাছিয়া গ্রামে মানিকের বাড়ীতে হানা দিয়ে মানিক ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৪ ভরি স্বণার্লংকারসহ অন্য মালামাল লুটে নেয়।
অন্য দিকে রাত দেড় টায় খাগকান্দা ইউনিয়নের লালুরকান্দী গ্রামের জয়নালের ঘরের টিনের বেড়া ভেঙ্গে ১২/১৩ জন মুখোশ পরিহিত ডাকাত অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে নগদ ১০হাজার টাকা, ১টি মোবাইল ফোন,গৃহিনীর গলায় থাকা রূপার চেইন ও বিদেশী টর্চলাইট ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদল জায়নাল আবেদীনের ছেলে মিছির আলীর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাতপা বেঁধে নগদ ৮ হাজার টাকা, ১ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, ৮ আনা ওজনের রূপার জিনিস লুটে নেয়। পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিলে লোকজন জড়ো হয়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। ডাকাত গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালালাম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।