নিয়ম অনুযায়ী, আইসিসির টুর্নামেন্টে জার্সির লোগের নিচে আয়োজক দেশের নাম থাকে। ওই হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়া দেশগুলোর জার্সিতে থাকবে পাকিস্তান লেখা। কিন্তু বিসিসিআই ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতে পাকিস্তান না লেখার পক্ষে অবস্থায় নেয়। 

পিসিবি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানোয় এবং আইসিসির হস্তক্ষেপ চায়। পিসিবির এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটে রাজনীতি আনছে বিসিসিআই। ওরা পাকিস্তানে খেলতে আসতে চায়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক পাঠাতে রাজি নয়। এবার শুনছি, আয়োজক দেশ পাকিস্তানের নামও জার্সিতে রাখবে না। আশা করি, আইসিসি এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত অনুমোদন করবে না।’

এরপর আইসিসির হস্তক্ষেপে সুর নরম হয়েছে বিসিসিআই-এর। তারা ভারতের জার্সিতে পাকিস্তান লেখার পক্ষে মত দিয়েছে। বিসিসিআই-এর নতুন সেক্রেটারি দেভজিৎ সাইকিয়া জানিয়েছেন, আইসিসির নিয়ম অনসুরণ করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি বানাবেন তারা। 

সাইকিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আইসিসির যে নির্দেশনা আছে (জার্সি তৈরির ক্ষেত্রে) আমরা তা অনুসরণ করবো।’ তখনই বিসিসিআই সেক্রেটারিকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, ‘আইসিসির টুর্নামেন্টে জার্সিতে আয়োজক দেশের নাম লোগোর নিচে লেখা থাকে। বিসিসিআই কী করবে।’ জবাবে সাইকিয়া পুনবায় বলেন, ‘আমরা আইসিসির নির্দেশনা মতো কাজ করবো।’ 

জার্সির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারলেও বিসিসিআই এখনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে পাকিস্তানে পাঠাবে কিনা ওই সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে। ওদিন বা তার একদিন আগে হবে ট্রফি উন্মোচন। টুর্নামেন্টের আগে অংশ নেওয়া দলগুলোর অধিনায়ককে নিয়ে ট্রফি উন্মোচন করাও আইসিসির নিয়মের মধ্যে পড়ে। 

ভারত ২০০৮ সালের পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বা কোন টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠায়নি। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও পাকিস্তানে খেলছে না ভারত। তাদের অনড় অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন হচ্ছে। যেখানে ভারত তাদের ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ