আল নাসরের হয়ে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অভিষেক হয়েছিল। দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির ঠিক একদিন আগে রোনালদো সৌদি ক্লাবটির হয়ে পেয়ে গেলেন এক অন্য রকম ‘১০০’- এর দেখা।
মঙ্গবার (২১ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল খালিজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পায় আল নাসর। এই ম্যাচে দুইবার লক্ষ্য ভেদ করেন পর্তিগিজ মহাতারকা রোনালদো। গোল করে এবং করিয়ে রিয়াদের ক্লাবটির হয়ে এই ‘১০০’ গোলের মাইলফলক স্পর্ষ করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি-অর জয়ী।
আল খালিজের মাঠে এই ম্যাচে ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল স্বাগতিকরা। লাল কার্ড দেখেছিলেন সায়েদ আল হামসাল। এরপরও প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রোনালদোর গোলে লিড নেয় নাসর। নিচু শটে আল খালিজের জাল খুঁজে বের করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘৯’ গোলের মহারণে জয়ী বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে
শায়েস্তাগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল
ম্যাচের ৮০ মিনিটে সফল পেনাল্টি কিকে আল খালিজকে ১-১ সমতায় ফেরান কনস্টাস ফরচুনিস। তবে ঠিক এক মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় রোনালদোর দল। গোলটি করেন ঘানাম। রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন যোগকরা সময়ে (৯৮ মিনিটে)।
তবে ৬৫ মিনিটের প্রথম গোলের পরই ‘১০০’ গোলের মাইলফলক স্পর্ষ করেন রোনালদো। আল নাসরে ২০২৩ সালে যোগ দেওয়ার পর ক্লাবটির হয়ে ৯২ ম্যাচে ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন এই পর্তুগিজ কিংবদন্তি। এই সময়ে তিনি গোল করেছেন ৮২টি এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৮টি।
চল্লিশ ছুঁই-ছুঁই এই পর্তুগিজের ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মোট ৯১৯ গোল হয়ে গেল। ১ হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে রোনালদোর চাই আরও ৮১ গোল। সৌদি প্রো লিগে এবারের মৌসুমে ১৫ ম্যাচে ১৩ গোল করলেন রোনালদো, যা লিগটির সর্বোচ্চ।
রোনালদো বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গোল করলেন ৪৫৬টি। অথচ নেইমারের ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৪৩৯! রাউল গঞ্জালেসের ৪৪৮টি, থিয়েরি অঁরির ৪১৭টি এবং রোনালদোর একসময়ের সতীর্থ ওয়েইন রুনির ৩৬৬টি।
রোনালদো তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৫টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যার মাঝে ৪টি ক্লাবের হয়ে অন্তত ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন। শুধুমাত্র ক্যারিয়ার শুরু করা স্পোর্টিং লিসবনে তিনি এই মাইলফলক স্পর্ষ করতে পারেননি।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল পর ত গ ল আল খ ল জ গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল বাটা
বাটা শু (বাংলাদেশ) লিমিটেড ২০২৪ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৬ জুন বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।
বাটা শুর বিবরণী অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় ২৬ শতাংশ কমে ২১ টাকা ৬২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২৯ টাকা ৩১ পয়সা।
সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২০ টাকা ২২ পয়সা। এটি ২০২৩ সালে ছিল ২৩৭ টাকা ৯৩ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর বাটা শুর নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ৭১ টাকা ৪২ পয়সা; ২০২৩ সালে যা ছিল ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা।
লভ্যাংশ ঘোষণারও পর আজ বুধবার শেয়ারবাজারে বা শু কোম্পানির শেয়ারের দাম তেমন একটা বাড়েনি। সকালের প্রথম অধিবেশনে দাম বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত এক বছরে বাট শু কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১ হাজার ২৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৭০ টাকা। এর আগে ২০২৩ সালে বাটা লভ্যাংশ দিয়েছে ৪৩৫ শতাংশ; ২০২২ সালে ৩৬৫ শতাংশ; ২০২১ সালে ৭৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ।