Risingbd:
2025-03-03@14:22:39 GMT

আল নাসরে রোনালদোর ‘১০০’

Published: 22nd, January 2025 GMT

আল নাসরে রোনালদোর ‘১০০’

আল নাসরের হয়ে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অভিষেক হয়েছিল। দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির ঠিক একদিন আগে রোনালদো সৌদি ক্লাবটির হয়ে পেয়ে গেলেন এক অন্য রকম ‘১০০’- এর দেখা।

মঙ্গবার (২১ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল খালিজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পায় আল নাসর। এই ম্যাচে দুইবার লক্ষ্য ভেদ করেন পর্তিগিজ মহাতারকা রোনালদো। গোল করে এবং করিয়ে রিয়াদের ক্লাবটির হয়ে এই ‘১০০’ গোলের মাইলফলক স্পর্ষ করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি-অর জয়ী।

আল খালিজের মাঠে এই ম্যাচে ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল স্বাগতিকরা। লাল কার্ড দেখেছিলেন সায়েদ আল হামসাল। এরপরও প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রোনালদোর গোলে লিড নেয় নাসর। নিচু শটে আল খালিজের জাল খুঁজে বের করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

‘৯’ গোলের মহারণে জয়ী বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে

শায়েস্তাগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল

ম্যাচের ৮০ মিনিটে সফল পেনাল্টি কিকে আল খালিজকে ১-১ সমতায় ফেরান কনস্টাস ফরচুনিস। তবে ঠিক এক মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় রোনালদোর দল। গোলটি করেন ঘানাম। রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন যোগকরা সময়ে (৯৮ মিনিটে)।

তবে ৬৫ মিনিটের প্রথম গোলের পরই ‘১০০’ গোলের মাইলফলক স্পর্ষ করেন রোনালদো। আল নাসরে ২০২৩ সালে যোগ দেওয়ার পর ক্লাবটির হয়ে ৯২ ম্যাচে ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন এই পর্তুগিজ কিংবদন্তি। এই সময়ে তিনি গোল করেছেন ৮২টি এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৮টি।

চল্লিশ ছুঁই-ছুঁই এই পর্তুগিজের ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মোট ৯১৯ গোল হয়ে গেল। ১ হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে রোনালদোর চাই আরও ৮১ গোল। সৌদি প্রো লিগে এবারের মৌসুমে ১৫ ম্যাচে ১৩ গোল করলেন রোনালদো, যা লিগটির সর্বোচ্চ।

রোনালদো বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গোল করলেন ৪৫৬টি। অথচ নেইমারের ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৪৩৯! রাউল গঞ্জালেসের ৪৪৮টি, থিয়েরি অঁরির ৪১৭টি এবং রোনালদোর একসময়ের সতীর্থ ওয়েইন রুনির ৩৬৬টি।

রোনালদো তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৫টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যার মাঝে ৪টি ক্লাবের হয়ে অন্তত ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন। শুধুমাত্র ক্যারিয়ার শুরু করা স্পোর্টিং লিসবনে তিনি এই মাইলফলক স্পর্ষ করতে পারেননি।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল পর ত গ ল আল খ ল জ গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির কারখানায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন অস্থিরতায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেকটাই হাত গুটিয়ে আছেন। এমন পরিস্থিতিতেও বড় বিনিয়োগে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই শিল্পগোষ্ঠী ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে রপ্তানিমুখী প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের কারখানা করতে যাচ্ছে।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কারখানাটি হচ্ছে। ইতিমধ্যে কারখানা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ। তবে এখনো যন্ত্রপাতি আমদানি হয়নি। কারখানা চালুর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৭৩ কেটি ২০ লাখ টাকার প্লাস্টিক পণ্যের ক্রয়াদেশ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনটাই জানালেন আরএফএল গ্রুপের কর্মকর্তারা।

নতুন এই কারখানার যন্ত্রপাতির জন্য বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্লাস্টিক মেশিনারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হাইতিয়ান গ্রুপের সঙ্গে আজ রোববার চুক্তির কথা রয়েছে। চলতি অর্থবছরের শেষ দিকে অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসে কারখানার উৎপাদন শুরু হবে। কারখানাটিতে বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি পণ্য উৎপাদন হবে। পাশাপাশি খেলনা ও পোষা প্রাণীর প্রয়োজনীয় পণ্যও উৎপাদনে যাবে আরএফএল।

প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে দেড় যুগের অভিজ্ঞতা রয়েছে আরএফএলের। ২০০৭ সালে ভারতে গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্য পাঠানোর মধ্য দিয়ে এই খাতে তাদের রপ্তানি শুরু। বর্তমানে বিশ্বের ৮০টি দেশে আরএফএলে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করেছে গ্রুপটি।

আরএফএল গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (রপ্তানি) সালাহ উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘আমরা এত দিন ইউরোপের বাজারে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করেছি। এখন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার বাজারের দিকে দৃষ্টি দিতে চাই। কারণ, বাজারটি অনেক বড়। তা ছাড়া সেখানকার মানুষ আমাদের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করে না। স্বল্প সময় ব্যবহার করে আবার নতুন পণ্য কেনে।’

বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হলেও তা একটি গণ্ডির মধ্যেই আটকে আছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১৮ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

আরএফএলের নতুন কারখানায় বছরে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করা যাবে। ক্রয়াদেশ থাকলে রপ্তানিও হবে সমপরিমাণ পণ্য। আর কারখানাটিতে কর্মসংস্থান হবে আড়াই হাজার মানুষের। এমনটাই জানালেন আরএফএলের কর্মকর্তারা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা খুবই ইতিবাচক। সংকটের সময় আমরা কাজের গতি বাড়িয়ে দিই। এমন কৌশলে আমরা সফলতাও পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর আমেরিকায় প্লাস্টিক পণ্যের বাজারে চীনাদের রাজত্ব। তবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় চীনারা এই ব্যবসা থেকে সরে আসছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধও নতুন মাত্রা পেয়েছে। ফলে প্লাস্টিকের ক্রয়াদেশ আশপাশের দেশে স্থানান্তরিত হবে। আমরা সেই সুযোগটি নিতে চাই।’

প্রাণের বর্তমান চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীর বাবা আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে ৪২ বছর বয়সে সামরিক বাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ওই বছরই শুরু করেছিলেন ফাউন্ড্রি বা টিউবওয়েল তৈরি ও আবাসন ব্যবসা। সম্বল ছিল পেনশনের টাকা। তবে আবাসন ব্যবসা তিনি বেশি দিন করেননি। ফাউন্ড্রির ব্যবসায় বেশি নজর দেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল)। কোম্পানিটির আওতায় এখন বহু ধরনের পণ্য রয়েছে। তবে আমজাদ খান চৌধুরীর লক্ষ্য ছিল কৃষি ব্যবসায় নামা। তারই অংশ হিসেবে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (এএমসিএল)-প্রাণ।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লেনদেন ছিল ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের। এর মধ্যে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। শিল্পগ্রুপটিতে কাজ করেন ১ লাখ ৪৫ হাজার কর্মী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদক মামলায় খালাস পেলেন ডা. ঈশিতা
  • ৯৯ দোররার ভয়, না নিরাপত্তাশঙ্কা—রোনালদো কেন ইরানে যাননি
  • স্বামী-স্ত্রী মিলে করেন জাল টাকার ব্যবসা
  • সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা 
  • আবাহনীতে ব্রাজিলিয়ান, কিংসে আর্জেন্টাইন
  • তিনশ'র দ্বারপ্রান্তে বিরাট কোহলি
  • অটোমোবাইল থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে গ্যাস ইউনিটে নিয়ে যাচ্ছে ইন্টট্রাকো রিফুয়েলিং
  • প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির কারখানায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ
  • গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দুই বছর পূর্তিতে বিক্ষোভ, ধরপাকড়
  • আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকোতে কি নেইমার খেলবেন