সাইফের ওপর হামলা: শেহজাদকে ছেলে দাবি ঝালকাঠির রুহুল আমিনের
Published: 22nd, January 2025 GMT
ভারতীয় অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে নিজের ছেলে দাবি করেছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন ফকির।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন শেহজাদের যোগাযোগ নেই। শুনেছি, সে ভারতে আটক হয়েছে। কিন্তু কবে, কীভাবে শেহজাদ ভারতে গেছে জানি না।’’
এ সময় সাইফ আলি খানের ওপর হামলার অভিযোগে শেহজাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘খারাপ কাজ করলে শাস্তি পাবে, সেটা আমিও চাই।’’
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘রুহুল আমিনের ছেলে শেহজাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানা এবং ঢাকায় হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।’’
তবে, সাইফ আলী খানের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ যুবক রুহুল আমিনের ছেলে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
শান্ত আমিন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে শেহজাদের যোগাযোগ ছিল না। এলাকায় থাকাকালীন তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।’’
মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘২০১৭ সালে নলছিটির মোল্লাররহাট স্টিল ব্রিজের কাছে খুন হন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রুহুল আমিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আসামি করা হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে তিনি। এছাড়া, শেহজাদ ছিনতাই, চুরি ও মারামারির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।’’
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। পরে সেখান থেকে বাড়িতে ফেরেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেহজাদকে। গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু, শেহজাদের আইনজীবী দাবি করেন, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।”
ঢাকা/অলোক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম নলছ ট
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর হাত কেটে ‘প্রতিশোধ’ স্বামীর
পরকীয়ার সন্দেহে গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রীর ডান হাত কেটে প্রতিশোধ নিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
স্বামী ফিরোজ মিয়া রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম একই ইউনিয়নের পাশের জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়া সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এদিকে স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে ফিরোজ মিয়া প্রতিশোধ নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে আবারও সংসার শুরু করেন তারা। এরপর সুযোগ বুঝে সোমবার রাতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করেন ফিরোজ মিয়া। এসময় স্ত্রী জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন এবং জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ এসে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।