১৫ বছর আগের সেই ভিডিও শেয়ার করে যা বললেন মেহজাবীন
Published: 22nd, January 2025 GMT
শোবিজে ১৫ বছর পূর্ণ করলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ২০০৯ সালে এই দিনে সুন্দরী প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারে সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হন তিনি। তার কাছে দিনটি আজও স্বরণীয়।
সামাজিক মাধ্যমেও দেড় দশকের আগের সেই মুহূর্তটি স্মরণ করেছেন মেহজাবীন। নিজের ফেসুবকে প্রকাশ করেছেন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ নির্বাচিত হওয়ার মুহূর্তটি।
শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে মেহজাবীন, তাহসিন ও নাজিয়া হক অর্ষা। বিজয়ী ঘোষণার আগমুহূর্তে উপস্থাপিকা রুমানা মালিক মুনমুন তাদের অনুভূতি জানতে চান। মেহজাবীন জানান, তিনি নার্ভাস। কিছুক্ষণ পর সেরা সুন্দরীর ঘোষণায় নিজের নাম শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন তিনি। বাকি দুই প্রতিযোগীকে জড়িয়ে ধরেন উৎফুল্ল মেহজাবীন।
ভিডিওটি প্রকাশ করে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘ঠিক ১৫ বছর আগে আজকের এই দিনে আমার জীবন একেবারেই পাল্টে গিয়েছিল।’ মন্তব্যের ঘরে মেহজাবীনকে ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন তার অনুসারীরা।
সম্প্রতি মেহজাবীনকে শেষ দেখা গেছে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমায়। এ ছবি দিয়ে ঢালিউডে প্রথমবার নিজেকে সিনেমা হলে মেলে ধরেছেন তিনি। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’। এ ছবি দিয়ে ঢালিউডে নাম লেখান অভিনেত্রী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১৬ বছর পর ঘরে ফিরলেন ইউছুফ
দীর্ঘ ১৬ বছরের বন্দিজীবন শেষে মাতৃকোলে ফিরলেন পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় কারাবন্দি সাবেক বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ ইউছুফ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দাশ্রু ঝরালেন মা রানু বেগম।
২০০৮ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিডিআর-এ যোগ দেওয়া ইউছুফ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর গণগ্রেপ্তারের শিকার হন। ২০১৩ সালে হত্যা মামলায় খালাস পেলেও বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর কারাগারে কাটাতে হয় তাকে। অবশেষে ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২৬ জানুয়ারি উখিয়ার নিজ বাড়িতে ফেরেন।
এদিকে কারামুক্ত ইউছুফকে সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নেয় এলাকাবাসী। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন ‘এক্স বিডিআর কক্সবাজার ২০০৯’-এর নেতারা।
এ সময় মা রানু বেগম বলেন, ‘‘সন্তানকে ফিরে পেয়েছি, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছুই নেই। গত ১৬ বছর যে কষ্টে কেটেছে, তা কাউকে বুঝানো যাবে না।”
ইউছুফের ছোট ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘‘আমার ভাইয় জেলে থাকার সময় আমাদের পরিবার চরম কষ্টে ছিল। এখন তাকে ফিরে পেয়ে ভাষায় প্রকাশ করার মতো আনন্দ নেই।’’
মুক্তি পাওয়ার পর ইউছুফ বলেন, ‘‘আমি নিরপরাধ ছিলাম, তবু ১৬ বছর কারাগারে কাটিয়েছি। চাই না আর কোনো নির্দোষ বিডিআর সদস্য এমন শাস্তি ভোগ করুক।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিডিআর-এ যোগ দিয়েছিলাম পরিবারকে সহায়তা করতে, কিন্তু উল্টো আমার পরিবারই কষ্ট করেছে। সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো, বাবা-মাকে জীবিত পেয়েছি।’’
‘এক্স বিডিআর কক্সবাজার ২০০৯’-এর সভাপতি হাবিলদার মো. একরাম উল হুদা বলেন, ‘‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কক্সবাজারের ৫৭ জন বিডিআর সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ইউছুফ একজন। সরকারকে অনুরোধ জানাই, ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের সহায়তা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।’’
ইউছুফের ছোট ভাই বলেন, ‘‘আমার ভাইসহ যারা নির্দোষ, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে চাকরিতে পুনর্বহাল এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’’
ঢাকা/তারেকুর/ইমন