গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অটোচালক রানার সঙ্গে দেখা করেছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান।

এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল বিকালে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান আহত অভিনেতা সাইফ আলী খান। তার আগে অটোচালক ভজন সিং রানার সঙ্গে দেখা করেন সাইফ। স্বল্প সময়ের সাক্ষাতে রানাকে পেয়েই তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং ধন্যবাদ জানান সাইফ। সব মিলিয়ে পাঁচ মিনিটের মতো কথা বলেন তারা। এসময় সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর রানার জন্য অনেক দোয়া করেন।

ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলেছেন ভজন সিং রানা। সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রানা বলেন, “আমি ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ গেট থেকে শব্দ শুনতে পাই। একজন নারী সাহায্য চেয়ে চিৎকার করছিলেন, ‘রিকশা থামান’ বলে ডাকছিলেন। প্রথমে আমি জানতাম না যে, তিনি সাইফ আলী খান। আমি এটিকে সাধারণ হামলার ঘটনা বলে মনে করেছিলাম।”

আরো পড়ুন:

সাইফের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন ‘কে.

ডি. পাঠক’

হাতছাড়া হতে পারে সাইফের পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি

অটোতে উঠার পরের ঘটনা বর্ণনা করে রানা বলেন, “তিনি (সাইফ আলী খান)  পায়ে হেঁটে অটোতে ওঠেন। তার সঙ্গে ছোট একটি ছেলে ও একজন নারী ছিলেন। অটোতে ওঠার পরই তার প্রথম প্রশ্ন ছিল— ‘হাসপাতাল পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে?’ আমরা দশ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেছিলাম।”

রক্তাক্ত সাইফ আলী খানকে হাসপাতালে নিয়ে যেত ভয় পাননি রানা। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তার কাঁধ ও পিঠ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার সাদা রঙের কুর্তা রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে আমার ভয় করেনি। বরং সেই সময়ে তাকে সাহায্য করতে পেরে ভালো লেগেছে।”

গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করেন এক দুর্বৃত্ত। এতে গুরুতর আহত হন ‘রেস’ তারকা। গ্যারেজ দামি গাড়ি থাকার পরও তা নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারেননি। পরে রক্তাক্ত সাইফকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান অটোচালক রানা। গতকাল বিকালে হাসপাতাল থেকে বান্দ্রার বাড়িতে ফিরেছেন সাইফ আলী খান।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৫ যাত্রী নিহত

জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা পাঁচ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের কড়োগ্রাম এলাকায় জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- এনাম ফকির, সিএনজি চালক আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল করিম আলাল।

জামালপুর সদর উপজেলার নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. লুৎফর রহমান জানান, মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী একটি সিএনজি অটোরিকশাকে মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুত গতির একটি ট্রাক সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সিনএজি অটো রিকশায় থাকা ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। 

উদ্ধারকৃতদের মধ্য এনাম ফকির স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায়। এনামের বাবা আমজাদ ফকির গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মালপুর সদর উপজেলার নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. লুৎফর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে এখান থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।”

ঢাকা/শোভন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা
  • বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু 
  • গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
  • সাইফুল-সাজ্জাদে তটস্থ চট্টগ্রামের ৫ থানার পুলিশ
  • কামরুল হাসানের কাছে শিল্প ধরা দিয়েছিল
  • ‘আমার চিত্রকর সত্তার মৃত্যু ঘটিয়েছি’
  • ‘রেখাচিত্রকে অবহেলা করা উচিত নয়’
  • অনুষ্ঠানে প্রবেশে নারী সাংবাদিককে ‘বাধা’, যা হয়েছিল সেদিন
  • যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে নেই কেউ
  • জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৫ যাত্রী নিহত