তানজিদের ব্যাটে হেসে খেলে ঢাকার চিটাগং জয়
Published: 22nd, January 2025 GMT
প্রতিশোধের নেশায় মগ্ন না থাকলে এমন পারফরম্যান্স বের হয়ে আসার কথা না। বোলিং, ব্যাটিংয়ে এমন প্রাণবন্ত দিন ঢাকা ক্যাপিটালস এবারের বিপিএলে কমই পেয়েছে। চিটাগং কিংসকে ৮ উইকেটে হারানোর ম্যাচে প্রাপ্তির খাতায় সবটাই আদায় করে নিয়েছে ঢাকা। সঙ্গে নিয়েছে মধুর প্রতিশোধও।
প্রথম দেখায় চিটাগং কিংস ৭ উইকেটে তাদেরকে হারিয়েছিল। এবার ঢাকা জিতল আরও অনায়েসে, হেসেখেলে। বোলাররা লক্ষ্য একেবারে নাগালে রেখেছিলেন। চিটাগং কিংস আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ঢাকা ১১ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
মামুলি লক্ষ্যে পৌঁছানোর পেছনের কারিগর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলে ৫৪ বলে ৯০ রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। উইকেটের চারিপাশে দৃষ্টিনন্দন সব শট খেলে ৩ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ২৮ বলে ফিফটি ছুঁতে ১ চার ও ৫ ছক্কা মেরেছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস বড় করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্য নাগালে রাখল ঢাকা
পুনরায় আলিসের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ
ঢাকার জয়ের থেকে বড় প্রাপ্তি তানজিদের ম্যাচ শেষ করে আসা। ফিফটির পর ইনিংসটি ক্যারি করে যেভাবে এক-দুই রান ও বাউন্ডারি মেরে চাপ সামলে নিয়েছেন তাতে লেটার মার্কস তারই প্রাপ্য। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে। এই ইনিংস দিয়ে বিপিএল চারশ রান (৪২০) ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
লিটনের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটি ছিল ৭৫ রানের। লিটন ধীরগতিতে ২৮ বলে ২৫ রানে ফিরলেও তাতে ঢাকার সমস্যা হয়নি। তিনে নেমে মুনিম শাহরিয়ার ১৮ বলে ১২ রান করেন। তানজিদের সঙ্গে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাব্বির রহমান। খালেদের বলে কাভারের ওপর দিয়ে যে ছক্কাটি সাব্বির মেরেছিলেন তা দিনের সেরা শট বলতেই হবে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে চিটাগং কিংস প্রত্যাশামাফিক রান তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে তাদের সংগ্রহ হয় ১৪৮ রান। আঁটসাঁট বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালে রাখে ঢাকা। দুই দলের প্রথম দেখায় চিটাগং কিংসের কাছে পাত্তা পায়নি রাজধানীর দলটি। এবার তারা প্রতিশোধ নিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
চিটাগংয়ের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল একেবারেই দৃষ্টিকটু। পাওয়ার প্লে’ কাজেই লাগাতে পারেননি দুই ওপেনার নাঈম ইসলাম ও জুবাইদ আকবারি। দুজন মিলে প্রথম ছয় ওভারে ডট বলই খেলেন ২৫টি। বাকি ১১টি স্কোরিং শট। নাঈম ভুগেছেন বেশি। ১৭ ডট বল খেলেন তিনি। পাওয়ার প্লে’তে ২২ বল খেলে মাত্র ১৪ রান যোগ করেন।
রান তোলার চাপ বাড়ায় ব্যাটসম্যানদের ঝুঁকি নিয়ে শট খেলতেই হতো। সেটা করতে গিয়ে কখনো সফল হয়েছেন, কখনো উইকেট বিলিয়ে আসেন। নাঈম প্রতিপক্ষ পেসার মেহেদী হাসান রানাকে স্কুপ করে ছক্কা ও চার হাঁকালেও স্পিনার মোসাদ্দেককে তুলে মারতে গিয়ে সীমানায় তালুবন্দি হন। আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া নাঈম এবার ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৪৪ রান করেন। এছাড়া আকবরির ইনিংস থামে ১৯ বলে ২৩ রানে। এই উইকেটও নেন মোসাদ্দেক।
মিডল অর্ডারে চিটাগংয়ের রানের চাকা চেপে ধরেন নাজমুল ইসলাম অপু। বাঁহাতি স্পিনার একই ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ক ও হোসেন তালাতকে আউট করেন। নতুন ব্যাটসম্যান হায়দার আলীকেও ফেরাতে পারতেন নাজমুল। কিন্তু সীমানায় সাব্বির তার ক্যাচ মিস করায় নাজমুলের তৃতীয় উইকেট পাওয়া হয়নি।
শেষ দিকে প্রত্যাশামাফিক ঝড় ওঠে শামীম ও মিঠুনের ব্যাটে। শামীম ১৬ বলে ১৫, হায়দার ১১ বলে ১৬ ও মিঠুন ৮ বলে ১২ রান করেন।
উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। বল একটু ধীর গতিতে আসায় সময় নিয়ে শট খেলতে হয়েছে ব্যাটসম্যানকে। চার-ছক্কার ভাটা পড়েছিল চিটাগংয়ের ইনিংসে। মাত্র ১২ চার ও ৬ ছক্কা আসে তাদের ইনিংসে।
ঢাকার দুই স্পিনার নাজমুল ও মোসাদ্দেক ২টি করে উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা। ১ উইকেট পেয়েছেন রন্সফোর্ড বেটন।
দশ ম্যাচে ঢাকার এটি তৃতীয় জয়। পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে তারা। শেষ দুই ম্যাচে জয় পেলে ঢাকার সুযোগ থাকবে প্লে’অফে খেলার। অন্যদিকে চিটাগংয়ের এটা নবম ম্যাচে চতুর্থ হার।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল দাবি-দাওয়া আদায়, প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করছেন। এতে করে ঢাকা মহানগরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অফিসগামী যাত্রীরা নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিদেশগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ রোগী পরিবহনে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, যানজট কমানোর জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। তারপরও সড়ক অবরোধ করার মতো ঘটনায় ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য অহেতুক সড়ক অবরোধ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এর আগেও সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে দেয় ডিএমপি।
মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ পথচারীরা।