কক্সবাজারে তিনদিনের বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল শুরু ২৯ জানুয়ারি
Published: 22nd, January 2025 GMT
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল। ২৯-৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পেঁচারদ্বীপের মারমেইড বিচ রিসোর্টে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকবে ঐতিহ্যবাহী ও সৃজনশীল খাবারের প্রদর্শনী, যেখানে বিশেষ খাবার পরিবেশন করবেন তারকা রাঁধুনি ইনারা জামাল।
বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালের কিউরেটর হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাপানের বিখ্যাত ফেস্টিভ্যাল আর্কিটেক্ট ও লাইটিং ডিজাইনার জিরো এনদো। এই উৎসবের আয়োজন হবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক রক সিটির বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যালের আদলে, যা বিশ্বের অন্যতম বড় এবং সৃজনশীল উৎসব হিসেবে পরিচিত।
ইনারা জামালের রান্না করা খাবারের মধ্যে থাকছে সামুদ্রিক মাছের নানান রকমের পদ, পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারের অভিনব পরিবেশনা। নিউইয়র্কের ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইনারা জামাল খাবার তৈরির ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব তুলে ধরবেন।
ইনারা জামাল বলেন, খাবার শুধু স্বাদের জন্য নয়; এটি সংস্কৃতির সাথে মানুষের সংযোগও সৃষ্টি করে। এই উৎসবে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ও বাংলাদেশি ঐতিহ্যের মিশেলে খাবার পরিবেশনের চেষ্টা করবো, যা ভোজন রসিকরা নতুন স্বাদের তৃপ্তি পাবে।
মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, খাবারের স্বাদ শুধু নয়, তার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা দেশের সফল তরুণ রাঁধুনিদের এই উৎসবে যুক্ত করতে চাই। ইনারা জামাল তাঁদের অন্যতম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডার টরেন্টোতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব
উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় শপার্স ওয়ার্ল্ড এর পার্কিং লট থেকে। এসময় প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী বাঙালি পায়ে হেঁটে টায়রা এভিনিউ ধরে সমবেত হন ডেন্টনিয়া পার্ক শহীদ মিনার পাদদেশে।
টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ডেন্টোনিয়া পার্কে বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে। এদিন শিশু কিশোরদের হাতে মুখ ও মুখোশ নিয়ে ছিল বৈশাখী মঙ্গলশোভা যাত্রা।
আয়োজকরা জানান, নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য।