বরিশালের বাবুগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর ছাত্রদল কর্মী রাব্বি খানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার পূর্ব রহমতপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার পা বাঁধা, হাত ভাঙা এবং দুই চোখ উপড়ানো ছিল। গত শনিবার রাত ১২ টার দিকে নিখোঁজ হন রাব্বি। 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণের পরে হত্যা করা হয়েছে। 

রাব্বি খান (১৯) বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব রহমতপুর গ্রামের বাচ্চু খানের ছেলে এবং বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির রহমানের ছোট ভাই। রাব্বি নিজেও ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। শনিবার রাতে তিনি নিখোঁজ হওয়ার পরদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল তার পরিবার। বুধবার সকালে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। 

নিহতের বড় ভাই সাব্বির রহমান বলেন, রাজনৈতিক কারণে স্থানীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরেই শনিবার রাতে রাব্বিকে ফোন করে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। ৩ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে নির্যাতনের পরে তাকে খুন করা হয়। 

এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, নিহত রাব্বির পা বাঁধা, হাত ভাঙা এবং দুই চোখ উপড়ানো ছিল। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যার পর মরদেহ মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় রহমতপুর-মোহনগঞ্জ সড়কে একটি পরিত্যক্ত গোডাউনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল ছ ত রদল ছ ত রদল মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ, টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার সেই ৬ শ্রমিক

অবশেষে কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে সিলেটের সেই ছয় শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে তাদেরকে অপহরণ করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উদ্ধারকৃতরা হলেন– লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), ইউপি সদস্য ছফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ আহমদ (১৯) ও মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৪০)।

এর আগে ১৫ এপ্রিল সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সেই ৬ শ্রমিক কাজের সন্ধানে কক্সবাজার যান। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও তার পর থেকে তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সিলেটের সেই ছয় শ্রমিককে উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘অপহরণকারীরা তাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে পাহাড়ি এলাকায় জিম্মি করে রেখেছিল। পুলিশ তাদের খোঁজে রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলেও ছয় শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই সুস্থ আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সিলেটের নিখোঁজ ছয় শ্রমিকদের টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ। তারা এখন টেকনাফ থানায় রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ, টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার সেই ৬ শ্রমিক
  • অপহৃত শিশুকে ভিক্ষা করাতে নির্যাতন, শরীরজুড়ে দেওয়া হয় সিগারেটের ছ্যাঁকা
  • শরীরে ছ্যাঁকা দিয়ে হাতের নখ উপড়ে প্রতিবন্ধী বানিয়ে করানো হতো ভিক্ষা
  • উদ্ধার অভিযানে মিলল ‘ইউপিডিএফের আস্তানা’
  • খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় মিলল ইউনিফর্ম-ওয়াকিটকি 
  • উদ্ধার অভিযানে ‘ইউপিডিএফের আস্তানার’ সন্ধান
  • খাগড়াছড়িতে এবার দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণ
  • মানিকছড়িতে মোবাইল টাওয়ারের দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ
  • খাগড়াছড়িতে এবার ২ টেকনিশিয়ান ‘অপহরণ’
  • চবির অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে সমাবেশ