সাবেক দুই উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে অনড় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে অ্যাকাডেমিক ভবনসমূহে তালা লাগিয়ে দিয়েছে তারা। পাশাপাশি দ্বিতীয় দিনের মত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরবাড়ি বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।

সংগীত বিভাগের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আব্দুল মমিন বলেন, গত সাড়ে নয় বছর আগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব প্রায় ১২০০ একর জায়গায় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করার কথা থাকলেও অধিকাংশ জমি এখনো উদ্ধার হয়নি। বারবার বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন প্রকল্প পরিকল্পনায় কাটছাঁট করা হয়। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ তো দূরের কথা স্থানীয় কয়েকটি কলেজের ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

এই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর ভবন ভাড়া দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাবেক দুই বিদায়ী উপাচার্যের মাধ্যমে নিয়োগ-বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে গত সাড়ে নয় বছরেও নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও সরকারের মাধ্যমে আমাদের দাবি পূরণ করা না হলে আমরা রাজপথ কোনভাবেই ছাড়ছি না, যোগ করেন তিনি।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সমুদ্র ইসলাম, বাংলা বিভাগের আবিদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রিদয় সরকার, সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিব সরকার প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন। 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিলীপ কান্তি বড়ুয়া বুধবার বিকেলে বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি যৌক্তিক। বর্তমানে পরীক্ষা কার্যক্রম চললেও শিক্ষার্থীরা পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ও ক্লাসে তালা মেরে আন্দোলন করছে। আমরাও তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। সরকারিভাবে খুব শীঘ্রই হয়তো এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের সাথে আলোচনা চলছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসমুখী হবে কিনা আজকে দিনের মধ্যেই আমাদেরকে বিষয়টি জানানোর কথা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ স র জগঞ জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।

নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই  নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ