চট্টগ্রামে নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভুলে হাতব্যাগ রেখে ব্যাংকে যান ব্রিটিশ দম্পতি। ব্যাগটিতে ছিল দুটি ব্রিটিশ পাসপোর্ট, নগদ তিন লাখ টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ব্যাংকে ঢোকার পর ব্যাগের কথা তাদের মনে পড়ে। তাৎক্ষণিক বাইরে এসে দেখেন, অটোরিকশাটি নেই। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হলে আট ঘণ্টায় পাসপোর্ট, নগদ টাকা, অন্যান্য জিনিসপত্রসহ ব্যাগটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে হাতব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় হাতব্যাগ হারানোর বিষয়টি থানায় জানান ওই ব্রিটিশ দম্পতি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, মঙ্গলবার নগরের লাভ লেন এলাকায় অটোরিকশায় হাতব্যাগটি ফেলে যান ব্রিটিশ দম্পতি তাফিকা চৌধুরী ও তার স্বামী ওয়াসিউর রহমান। তারা তাৎক্ষণিক বিষয়টি কোতোয়ালি থানা পুলিশ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও ব্রিটিশ হাইকমিশনকে জানান। পরে কোতোয়ালি থানা–পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে হাতব্যাগটি উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, ওই ব্যাগে দুটি ব্রিটিশ পাসপোর্ট, নগদ তিন লাখ টাকা এবং চেকবই ছিল। অক্ষত অবস্থায় সবকিছু উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে ওই ব্রিটিশ দম্পতির কাছে সব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ