গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 22nd, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নূর ইসলাম (২০) একই গ্রামের বাসিন্দা ও সম্পর্কে শিশুটির চাচা হয়। এদিকে, এ ঘটনায় এলাকার প্রভাবশালীরা থানায় অভিযোগ না করে মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ফলে, ভুক্তভোগীর পরিবার এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।
ভুক্তভোগীর মা জানান, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে মঙ্গলবার সকালে সে ও তার স্বামী কাজে চলে যান। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এ সময় জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি জানায়, তাকে নূর ইসলাম ধর্ষণ করেছেন। রাতে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন:
দুই তরুণী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি কারাগারে
কুমিল্লায় দলবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্ত মহসিন আ.
তিনি অভিযোগ করে বলে, ‘‘এ ঘটনায় প্রভাবশালীরা থানায় অভিযোগ না করে মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’’
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ধর্ষণের আলামত নিয়ে গতকাল রাতে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান বলেন, ‘‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি
কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর এবার ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ভারতের সামরিক সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের এলওসি বরাবর পাকিস্তানি সেনারা ভারতের কয়েকটি পোস্টে গুলি চালায়। এর জবাবে ভারতও গুলি চালায়।
নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সঠিক জবাব দিয়েছে জানিয়েছে সূত্র আরও জানায়, ছোট অস্ত্র দিয়ে কিছু জায়গায় গুলি চালানো হয়েছিল। এ গোলাগুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ২২ এপ্রিলের হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ‘শক্ত ও স্পষ্ট জবাব’-এর কথা বলেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে শক্ত জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। চলছে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা।