চারদিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি নেজামুদ্দিন নদভী
Published: 22nd, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুন্নিসা খানম এ আদেশ দেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় নদভীকে আদালতে আনা হয়। সাবেক এই সংসদ সদস্য আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) অধ্যাপক ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় দু’দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
সকালে আবু রেজা নদভীকে কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নেওয়ার সময় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর মেয়ে ও ভাগিনা। এ সময় তারা কথা বলতে চাইলে পুলিশের বাধায় তারা কথা বলার সুযোগ পায়নি। আদালতে তোলার পর আধাঘণ্টা শুনানি শেষে তাঁকে আবারও প্র্রিজন ভ্যানে তুলে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সাতকানিয়ার কেরানিহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনায় মামলা করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও হামলার অভিযোগে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন মোমেন হোসেন নামে এক ব্যক্তি। এই দুই মামলায় নদভীকে আসামি করা হয়। সেই দুই মামলায় তাঁকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।
১৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে নদভীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী খালিদ হাসান হত্যা মামলায় তাঁকে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’