ঢাকা থেকে অপহৃত রোকুনুজ্জামান খান (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে ৩ দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার গাবতলা মোড় এলাকার সাততলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত রোকুনুজ্জামান খান ঢাকার মগবাজার দিলু রোডের নুরুদ্দিন খানের ছেলে।

উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী রোকুনুজ্জামান খান জানান, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে আব্দুর রাকিব নামে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়াগোলা এলাকার একটি হাফেজিয়া মাদরাসার সুপারসহ ৭-৮ জন অস্ত্রের মুখে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে। এরপর চেতনানাশকের মাধ্যমে তাকে অজ্ঞান করা হয়। পরে দিন দুপুরের দিকে জ্ঞান ফিরলে একটি কক্ষে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তিনি নিজেকে দেখতে পান। গত ৩ দিন ধরে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। বুধবার সকালে অপহরণকারীরা তাকে ওই ভবনের দরজায় তালা মেরে বাইরে গেলে তিনি জানালা খুলে পাশের ভবনের লোকজনকে জানিয়ে সহায়তা চান। এসময় ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

অন্যদিকে অভিযুক্ত রাকিব সদর থানা চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, তার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এখন আর তার সঙ্গে ব্যবসা করতে না চাইলে রোকন টাকা দিতে টালবাহানা করে। তাই তাকে বেড়াতে আসার কথা বলে এখানে এনে পাওনা টাকা চাওয়া হয়েছে। 

মারধর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আটকে রাখা হলেও মারধর করা হয়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো.

রইস উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে রোকনের বিরুদ্ধে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি মামলা থাকায় তাকে ওই থানায় হস্তান্তর করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ চ প ইনব বগঞ জ প ইনব বগঞ জ ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ