বইমেলা ঘিরে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
Published: 22nd, January 2025 GMT
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘‘আসন্ন অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বইমেলার ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে।’’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বইমেলা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে কমিশনার বলেন, ‘‘প্রতি বছরই অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে বইমেলা। বইমেলা ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বইমেলার ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মেলার ভেতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার। থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে অনুষ্ঠানস্থলে সুইপিং করা, সাদা পোশাকে বিশেষ টিম মোতায়েন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও মাইকিং করে দিকনির্দেশনা প্রদান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং, মেলাপ্রাঙ্গণ ড্রোন দ্বারা মনিটরিং এবং সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম স্ট্যান্ডবাই রাখা।’’
কমিশনার বলেন, ‘‘প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। বড় ব্যাগ, কার্টুন, দাহ্য পদার্থ নিয়ে মেলায় কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিবারের ন্যায় মেলায় থাকবে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, হেল্প ডেস্ক ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র। আলো থাকলে মানুষ নিরাপত্তাবোধ মনে করে, এজন্য সার্বক্ষণিক আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মেলার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং আগত দর্শনার্থীদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।’’
সকলের সহযোগিতা ও সমন্বয়ে একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে এবারের বইমেলা সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) এ, এফ, এম তারিক হোসেন খান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
পরে মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, বাংলা একাডেমি, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতামত দেন।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো.
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ব যবস থ পর য প ত বইম ল র ড এমপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রমজান উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি থেকে ওএমএসের চাল বিক্রি
পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তিনটি পার্বত্য জেলাসহ দেশের ৬৪ জেলার ৮৪৮টি কেন্দ্রে খোলা বাজারের (ওএমএস) মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, রমজান উপলক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আয়ের মানুষের সুলভ মূল্যে চালপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। ৬১টি জেলার ৪০১টি উপজেলায় প্রতিদিন তিন মেট্রিক টন করে এবং তিনটি পার্বত্য জেলার ২৩টি উপজেলায় এক মেট্রিক টন করে মোট ৪২৪টি উপজেলার ৮৪৮টি কেন্দ্রে ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওএমএস (সাধারণ) কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগর, জেলা সদর পৌরসভা, ৮টি সিটি কর্পোরেশন ও শ্রমঘন ৪টি (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর) জেলার ৯০৬টি কেন্দ্রে দৈনিক ১ টন করে ৯০৭ মেট্রিক টন (সচিবালয় কেন্দ্রে দৈনিক ২ মে. টন) করে চাল বিক্রয় করা হবে।
জনপ্রতি পাঁচ কেজি চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।