পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন,“পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট এবং একটি ভিলা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।”

গত ৭ জানুয়ারি একই আদালত চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের নামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া, নাফিজ সারাফত ও আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি ও প্লট ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে চৌধুরী নাফিজ সারাফাতের নামে গুলশানের ২০ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি, গুলশানের একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজারে চারটি ফ্ল্যাট, নিকুঞ্জ উত্তর আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জের দুটি প্লট, বাড্ডার কাঠালদিয়ার আড়াই কাঠা জমি, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ২০ কাঠা জমি, গাজীপুর সদরে ৮.

২৫ শতাংশ জমি, নিকুঞ্জরের জোয়ার সাহারায় ৪.৯৫ শতাংশ জমি এবং রুপগঞ্জের পূর্বাচলে সাড়ে ৭ কাঠা জমি আছে।

আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে ৭ কাঠা জমির ওপর চারতলা বাড়িসহ জমি, পান্থপথে একটি ফ্ল্যাট, গুলশান লিংক রোডে একটি ফ্ল্যাট, মিরপুর ডিওএইচএসে একটি ফ্ল্যাট, শাহজাদপুরে একটি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জে ৩ কাঠা জমি, বাড্ডার কাঠালদিয়া আড়াই কাঠা নাল জমি এবং গাজীপুর সদরে ৮.২৫ শতাংশ চালা জমি ক্রোক করা হয়েছে।

রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের নামে বনানীতে থাকা তিনটি ফ্ল্যাট ও বারিধারায় থাকা চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিক্ষোভ সমাবেশের আগেই সিলেট ডিসি অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণ

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ করা হয়েছে। তবে কে সেটি সরিয়েছে তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

হযরত শাহজালাল (রহ.) তাওহিদি কাফেলার ব্যানারে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সমাবেশের আগে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ম্যুরাল ভাঙতে গিয়ে দেখেন যথাস্থানে সেটি নেই।

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের আলেম সমাজের একটি অংশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অপসারণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আসছিলেন। ২৬ জানুয়ারি আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকও হয়। বৈঠকে সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল উলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক, সামাজিক, ছাত্র ও ইমাম সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ম্যুরাল অপসারণে তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সেটি না সরালে তারা এটি সরিয়ে নেবেন বলে হুমকি দেন।

ম্যুরাল অপসারণ করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তাদের পক্ষ থেকে কোনোভাবে সেটি সরানো হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ