টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে চিটাগং কিংস প্রত্যাশা মাফিক রান তুলতে পারল না। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১৪৮ রান। আঁটসাঁট বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালে রেখেছে ঢাকা। দুই দলের প্রথম দেখায় চিটাগং কিংসের কাছে পাত্তা পায়নি ঢাকা। এবার তারা প্রতিশোধ নিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
চিটাগংয়ের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল একেবারেই দৃষ্টিকটু। পাওয়ার প্লে’ কাজেই লাগাতে পারেননি দুই ওপেনার নাঈম ইসলাম ও জুবাইদ আকবারি। দুজন মিলে প্রথম ছয় ওভারে ডট বলই খেলেন ২৫টি। বাকি ১১টি স্কোরিং শট। নাঈম ভুগেছেন বেশি। ১৭ ডট বল খেলেন তিনি। পাওয়ার প্লে’তে ২২ বল খেলে মাত্র ১৪ রান যোগ করেন।
রান তোলার চাপ বাড়ায় ব্যাটসম্যানদের ঝুঁকি নিয়ে শট খেলতেই হতো। সেটা করতে গিয়ে কখনো সফল হয়েছেন। কখনো উইকেট বিলিয়ে আসেন। নাঈম প্রতিপক্ষ পেসার মেহেদী হাসান রানাকে স্কুপ করে ছক্কা ও চার হাঁকালেও স্পিনার মোসাদ্দেককে তুলে মারতে গিয়ে সীমানায় তালুবন্দি হন। আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া নাঈম এবার ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৪৪ রান করেন। এছাড়া আকবারির ইনিংস থামে ১৯ বলে ২৩ রানে। এই উইকেটও নেন মোসাদ্দেক।
আরো পড়ুন:
পুনরায় আলিসের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ
‘প্রতিশোধের’ লড়াইয়ে চিটাগংয়ের বিপক্ষে বোলিংয়ে ঢাকা
মিডল অর্ডারে চিটাগংয়ের রানের চাকা চেপে ধরেন নাজমুল ইসলাম অপু। বাঁহাতি স্পিনার গ্রাহাম ক্লার্ক ও হোসেন তালাতকে আউট করেন। নতুন ব্যাটসম্যান হায়দার আলীকেও ফেরাতে পারতেন নাজমুল। কিন্তু সীমানায় সাব্বির তার ক্যাচ মিস করায় নাজমুলের তৃতীয় উইকেট পাওয়া হয়নি।
শেষ দিকে প্রত্যাশামাফিক ঝড় আসেন শামীম ও মিঠুনের ব্যাটে। শামীম ১৬ বলে ১৫, হায়দার ১১ বলে ১৬ ও মিঠুন ৮ বলে ১২ রান করেন। উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। বল একটু ধীর গতিতে আসায় সময় নিয়ে শট খেলতে হয়েছে ব্যাটসম্যানকে। ঢাকার দুই স্পিনার নাজমুল ও মোসাদ্দেক ২টি করে উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা। ১ উইকেট পেয়েছেন রন্সফোর্ড বেটন।
বোলাররা লক্ষ্য নাগালে রেখেছেন। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব য টসম য ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
কথা-কাটাকাটি থেকে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় দুবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে পারভেজ আলম নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে মালতীনগর আর্ট কলেজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পারভেজ আলম মালতীনগর খন্দকারপাড়া এলাকার জহুরুল আলমের ছেলে।
স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করতেন পারভেজ আলম। কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। আশপাশের লোকজন পারভেজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণ করেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।