সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের জেল, সম্পদ বাজেয়াপ্ত
Published: 22nd, January 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুদকের করা মামলায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৩৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম নুরুল ইসলাম এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের স্পেশাল পিপি মো.
আদালত ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলায় তার বিরুদ্ধে ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। দুদকের তদন্তে শাহীনের ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য প্রমাণিত হয়।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। গত ৫ আগস্ট রাজনীতিক পট পরিবর্তনে আত্মগোপনে চলে যান শাহীন চাকলাদার। রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে আদালত।
এদিকে, গেল বছরের ১৬ অক্টোবর দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের শাহীন চাকলাদারের পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যরা হলেন– শাহীন চাকলাদারের স্ত্রী ফারহানা জাহান মালা, দুই মেয়ে সামিয়া জাহান অন্তরা, মাঈসা জাহান অহনা এবং ছেলে জাবীর চাকলাদার।
উল্লেখ্য, শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ হ ন চ কল দ র শ হ ন চ কল দ র র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবী চন্দ্র দেবনাথের নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সাড়ে ৭ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ ও তার স্ত্রী কাপসিয়া তালুকদার, শম্ভুর মেয়ে শুল্কা দেবনাথ, মনীষা মুনমুনের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুদক।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে গ্রাম আদালতে ৬৪১ মামলা নিষ্পত্তি
সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীর বরখাস্ত
দুদক মামলায় উল্লেখ করেন, সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
পৃথক মামলায় আসামি হয়েছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর স্ত্রী মাধবী দেবনাথ। তার বিরুদ্ধে স্বামী শম্ভুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৪০৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নিজ নামে ৭টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনকভাবে মোট ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে।
সুনাম দেবনাথ ৯৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৩ টাকা ও কাসপিয়া ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করে তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।
শম্ভুর দুই মেয়ে শুক্লা দেবনাথের বিরুদ্ধে ৬৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার এবং মনীষা মুনমুনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশও জারি করেছে দুদক।
ঢাকা/ইমরান/বকুল