বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে চিটাগং কিংসের স্পিনার আলিস আল ইসলামের বোলিং অ্যাকশন। গত ১৯ জানুয়ারির ম্যাচে আম্পায়ার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে রিপোর্ট জমা দেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি মিরপুরে বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সামনে পরীক্ষা দিতে হবে আলিসকে। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে মাঠে খেলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই এই স্পিনারের।  

আলিস আল ইসলামের যাত্রা শুরু হয়েছিল নেট বোলার হিসেবে। তবে বিপিএলের মঞ্চে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে নজর কাড়েন তিনি। ইনজুরি ও অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে দীর্ঘ সময় ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পর বিসিবির ছাড়পত্র নিয়ে পুনরায় মাঠে ফেরেন আলিস।  

গত আসরে দারুণ পারফর্ম করে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন আলিস। তবে আঙুলের চোটের কারণে দলে জায়গা হয়নি তার। চলমান বিপিএলে ৮ ম্যাচের ৭ ইনিংসে বোলিং করে ১১ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। তার এ পারফরম্যান্সের মধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ হলো তার বোলিং অ্যাকশন।  

সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। এবার আলিস আল ইসলামের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও দেখা দিল শঙ্কা। বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে তার বিপিএল ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ ক্রিকেট যাত্রায় বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল অ য কশন ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ চূড়ান্ত: ইসি সানাউল্লাহ

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুব শিগগির বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী আইন-বিধি সংশ্লিষ্ট সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে বাছাই করা এসব সুপারিশ বুধবারই সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ দিন সকালে চতুর্থ কমিশন সভার পর ইসি মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এটা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আজকের মধ্যে পাঠিয়ে দেব। কমিশন সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে মার্চের মাঝামাঝি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্য থেকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ’ এবং ‘অতি জরুরি ভিত্তিতে’ নির্ধারিত ছকে পাঠাতে অনুরোধ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, যেসব বিষয় শুধু আরপিওতে সামান্য সংশোধন করে করা সম্ভব এবং আর্থিক সংশ্লেষ নেই (সেগুলো সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে)। কিছু বিষয় রয়েছে রাজনৈতিক; এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে আশু বাস্তবায়নযোগ্য। তবে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যের বিষয় রয়েছে সেগুলোতে আমরা মতামত দেয়নি। এমন ১০-১২টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে দেশের কোথাও ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা চিহ্নিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন দীর্ঘদিন ঝুলে থাকে, এটাকে কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো নাগরিকের যদি অসৎ উদ্দেশ্যে না থাকে সেগুলো সহজভাবে সমাধান করে দেওয়া হবে। অনেকে দ্বৈত কার্ড বা এনআইডি নিয়েছেন। এদের ক্ষেত্রে ভুলভাবে কেউ দুইবার নিলে প্রথমটা থাকবে, দ্বিতীয়টা বাদ যাবে। আবার পুরো পরিচয় পরিবর্তন করতে চাইলে সে বিষয়ে কঠোর হব। এ ছাড়া সেবাগ্রহীতাদের সহজে সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট আইন সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ