মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বাহালুল হুসাইন (৩৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার কোমারখোলা এলাকার এক্সপ্রেসয়েতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

বাহালুল হুসাইন উপজেলার কামারখোলা দারুসুন্নাহ জামিয়া সালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো.

সাইফুদ্দিন জানান, কাজের জন্য মাওলানা বাহালুল মাদ্রাসার ছাত্র মো. শাওনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শ্রীনগর বাজারে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে কামারখোলা ফ্লাইওভারের নীচে রেললাইনের পাশে আসলে অপর মোটরসাইকেলে অপেক্ষমাণ তিনজন ছিনতাইকারী শিক্ষক বাহালুলের গতিরোধ করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। 

শ্রীনগর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাফরোজা খানম বলেন, “ছিনতাইয়ের ঘটনায় আজ বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

ঢাকা/রতন/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ