কুমিল্লায় নাশকতার একটি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াতের ৩৬ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আফরোজা শিউলি এ অব্যাহতির আদেশ দেন। তবে আজ বুধবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার আদালতের পিপি কাইমুল হক রিংকু। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের হায়দার পুল এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। 

কুমিল্লার আদালতের পিপি কাইমুল হক রিংকু বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং রাজনৈতিক কারণে এ মামলা করা হয়েছিল। এজাহারে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও চার্জশিটে ৪২ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে ৩৬ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬ জন উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেওয়ায় তাদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সম্মেলন বাতিল চেয়ে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ মিছিল

হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিল চেয়ে দলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিন্দপুর বাজারে সমাবেশ হয়। 

সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এবিএম জহির উদ্দিন সোহেল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সাত্তার, নূরে আলম এরশাদ প্রমুখ। রোববার গোবিন্দপুর বাজারে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হিমেল ও তাঁর সহযোগীরা নিজেদের লোক নিয়ে সাজানো সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। এটা দলের নেতাকর্মীরা মানে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে করা কাউন্সিলের চিন্তা বাদ দিয়ে নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীকে স্থান দিতে হবে। 

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম হিমেল বলেন, সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএনপি। মিছিল করেছে যুবদল। তাদের কোনো সাংগঠনিক এখতিয়ার নেই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিছিল করার। 

এ প্রসঙ্গে সিরাজ উদ্দিনের ভাষ্য, কথাটা ঠিক নয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলামসহ একাধিক বিএনপি নেতা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারা বক্তব্যও দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। 

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ