চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন ট্রাম্প
Published: 22nd, January 2025 GMT
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের একদিন পর মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি। খবর বিবিসির।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন।
নির্বাচনী প্রচারের সময়ে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতায় বসার পর তিনি সেই তুলনায় অনেক কম শুল্ক আরোপের কথা জানালেন।
আরো পড়ুন:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় গ্রেপ্তার ১৬০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার চীন। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার চীনের পণ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তারপরও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ট্রাম্পের দাবি, ফেন্টানাইল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক চীন থেকে কানাডা ও মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে।
চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেছেন, তার দেশ বাণিজ্য উত্তেজনার ‘উপযুক্ত’ সমাধান খুঁজছে এবং আমদানি বাড়াতে চায়। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথাও ভাবছেন বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও ওপরও শুল্ক আরোপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্রাম্প মনে করেন, আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক লাভ হবে। যদিও সমালোচকেরা মনে করেন, এসব শুল্কের ভার শেষমেশ ভোক্তাদের ঘারেই বর্তাবে। এছাড়া প্রতিশোধের শিকার বিদেশি কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ শ ল ক আর প র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’